২০৪০ সালের মধ্যে লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বার্ষিক ৫৫ শতাংশ। প্রতীকী ছবি।
সাম্প্রতিকতম একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, ২০২০ সালে ৪৬টি দেশে অধিকাংশ মৃত্যুর কারণ লিভার ক্যানসার। ২০৪০ সালের মধ্যে লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বার্ষিক ৫৫ শতাংশ। ‘জার্নাল অফ হেপাটোলজি’ নামক মেডিক্যাল পত্রিকায় এমনই একটি সমীক্ষা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।
শরীরের বেশি ওজনের কারণে ঝুঁকি বাড়ে লিভার ক্যানসারের। ছবি: সংগৃহীত
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী লিভার ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে। অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্যপান করা, শরীরের বেশি ওজন, টাইপ ২ ডায়াবিটিস— এমন কিছু কারণে ঝুঁকি বাড়ে লিভার ক্যানসারের। ‘ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার’-এর তথ্য অনুসারে ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী লিভার ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮ লক্ষ। পূর্ব এশিয়া, উত্তর আফ্রিকায় লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। গবেষকদের মতে, লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ক্রমশ বাড়বে।
নামমাত্র খাওয়াদাওয়া, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, কম ঘুম, অত্যধিক কাজের চাপ লিভারের উপর প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া অত্যধিক হারে মদ্যপানও এর জন্য দায়ী। লিভার ভাল থাকে নিয়মে। প্রাত্যহিক অনিয়মে ক্ষতি হয় লিভারের।
বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা লিভার ক্যানসারের আরও এক কারণ। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে লিভার ভাল রাখা অসম্ভব। তেল-মশলা, প্রক্রিয়াজাত খাবার, অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাসেও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে লিভার। যে কোনও বয়সে শরীরে হানা দিতে পারে এই ক্যানসার। তাই সতর্ক থাকা প্রয়োজন। নয়তো অকালমৃত্যুর ঝুঁকি থেকেই যাবে। লিভার সুস্থ থাকলে শরীরের অনেক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। শরীরের ভাল-মন্দ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করে লিভার। তাই লিভার ভাল রাখাটা জরুরি। তার জন্য পরিমিত জীবনযাপন এবং খাওয়াদাওয়া করা প্রয়োজন। বাইরের খাবার খাওয়ার ঝোঁক কমাতে হবে। বেশি করে জল খেতে হবে। আরও ভাল হয়, যদি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা যায়।