—প্রতীকী ছবি।
হস্তরেখা বিচারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। যেমন হাতের গঠন, হাতের রং, বিভিন্ন গ্রহের চূড়া বা ক্ষেত্রের বিচার, নখ এবং নানা রকমের চিহ্ন। দুই বা দু’য়ের অধিক রেখা একসঙ্গে অবস্থান করে বিভিন্ন ধরনের চিহ্নের সৃষ্টি করে। বিভিন্ন চিহ্নের অবস্থান অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন ফল পাওয়া যায়। তালুতে থাকা বিভিন্ন চিহ্নের মধ্যে ‘তারা’ একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন। বহু মানুষের হাতেই এই তারা চিহ্নটি দেখা যায়। তিন বা তার চেয়ে বেশি রেখা একত্রিত হয়ে তারা চিহ্নের সৃষ্টি করে।
তালুর বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা চিহ্ন কী নির্দেশ করে—
তর্জনী বা বৃহস্পতির ক্ষেত্রে তারা চিহ্ন মাথায় আঘাত পাওয়া নির্দেশ করে। গলায় অস্ত্রোপচার বা খাদ্যদ্রব্য গলায় আটকে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নির্দেশ করে।
মধ্যমার নীচে বা শনির ক্ষেত্রে বা শনির চূড়ায় তারা চিহ্ন পক্ষাঘাত নির্দেশ করে। এ ছাড়াও মেরুদণ্ডের সমস্যা, আগুন থেকে বিপদ, তড়িৎ সংক্রান্ত বিষয়ে বিপদের আশঙ্কার নির্দেশ করে।
কনিষ্ঠার নীচে অর্থাৎ বুধের ক্ষেত্রের উপর তারা চিহ্ন থাকলে বিষক্রিয়ায় ক্ষতির আশঙ্কার নির্দেশ করে। খাদ্যের দ্বারা বিষক্রিয়ার আশঙ্কা বোঝায়।
দু’হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি অর্থাৎ শুক্রের ক্ষেত্রে বা শুক্রের চূড়ায় তারা চিহ্ন প্রাণশক্তি বা জীবনশক্তির হীনতা নির্দেশ করে।
মঙ্গলের রেখা বা মঙ্গলের ক্ষেত্রে তারা চিহ্ন অসুখী দাম্পত্য জীবন এবং দুর্ঘটনায় মৃত্যুর আশঙ্কা নির্দেশ করে।
চন্দ্রের ক্ষেত্রে তারা চিহ্ন জল থেকে বিপদের আশঙ্কা নির্দেশ করে এবং জন্ডিস, পক্ষাঘাত, মানসিক আঘাতের প্রবণতা নির্দেশ করে।
দু’হাতে শনির আঙ্গুলের তৃতীয় ভাগে তারা চিহ্ন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর আশঙ্কা নির্দেশ করে।
শনির আঙ্গুলের নীচে তারা চিহ্ন বন্ধাত্য নির্দেশ করে। শনির আঙ্গুলের দ্বিতীয় ভাগে তারা চিহ্ন মস্তিষ্কের বিকৃতির আশঙ্কা নির্দেশ করে।
ভাগ্যরেখার উপর তারা চিহ্ন দাম্পত্য জীবনে সমস্যার কারণে বা অসুখি দাম্পত্য জীবনের কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা নির্দেশ করে।
হৃদয়রেখার তারা চিহ্ন হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা বা হৃদ্যন্ত্র সংক্রান্ত রোগ নির্দেশ করে।
শিররেখার অগ্র বা শেষ ভাগে তারা চিহ্ন মানসিক পক্ষাঘাত, স্মৃতিভ্রম হওয়ার আশঙ্কা নির্দেশ করে।