Bihar Spurious Liqour Death

বিহারে ফের বিষমদে মৃত্যু, চম্পারণে প্রাণ গেল সাত জনের, তদন্ত দল গঠন করল পুলিশ

সম্প্রতি পশ্চিম চম্পারণের লাউরিয়া থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। গত ১৫ জানুয়ারি সেখানে বিষমদের কারণে প্রথম মৃত্যুর খবরটি প্রকাশ্যে আসে। এর পর একে একে মৃত্যু হয় আরও ছ’জনের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৪৩
Share:

বিষমদে মৃত্যু বিহারে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ফের প্রাণ কাড়ল বিষমদ! গত চার দিনে বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলায় বিষমদ পান করার কারণে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।

Advertisement

পুলিশ সুপার শৌর্য সুমন সংবাদ সংস্থা পিটি‌আইকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি পশ্চিম চম্পারণের লাউরিয়া থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। গত ১৫ জানুয়ারি সেখানে বিষমদের কারণে প্রথম মৃত্যুর খবরটি প্রকাশ্যে আসে। এর পর একে একে মৃত্যু হয় আরও ছ’জনের। সকলেরই মৃত্যু বিষমদ পান করার কারণে হয়েছে বলে অনুমান স্থানীয়দের। যদিও পুলিশের অনুমান, এর মধ্যে দু’জনের মৃত্যু অন্য কারণে হয়ে থাকতে পারে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগের পরেই শুরু হয়েছে তদন্ত। বিশেষ দল গঠন করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে ওই দল।

২০১৬ সাল থেকে বিহারে মদ নিষিদ্ধ। অথচ সেই রাজ্যেই অতীতে বার বার বিষমদের কারণে মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। গত বছরের অক্টোবর মাসে বিহারের সিওয়ান এবং সারণ জেলায় বিষমদের কারণে অন্তত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে শুধু সিওয়ানেই মৃত্যু হয় ২৮ জনের। দুই জেলা মিলিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বহু মানুষকে সিওয়ান, সারণ এবং পটনার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ঘটনাটির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের নির্দেশ দেন। রাজ্য পুলিশের ডিজি অলোক রাজের তত্ত্বাবধানে দু’টি বিশেষ তদন্তকারী দল গড়া হয়। ওই ঘটনায় ২১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিক মহলও সরগরম হয়ে ওঠে। বিরোধীরা এই ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নীতীশকে দায়ী করেন। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলেন, ‘‘এটি গণহত্যা। মদ নিষেধাজ্ঞায় বিহার পুরোপুরি ব্যর্থ। এর দায় নীতীশ কুমারের সরকারের।’’ সেই ঘটনার মাস কয়েকের মধ্যেই ফের বিষমদে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল বিহারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement