—প্রতীকী ছবি।
গ্রহের সঙ্গে জ্যোতিষশাস্ত্রের যেমন সম্পর্ক, তেমনই সম্পর্ক বাস্তুশাস্ত্রেরও। নয়টি গ্রহের প্রত্যেকের সঙ্গে সম্পর্ক বাস্তু বা গৃহের প্রতিটি দিক এবং প্রতিটি বস্তুরও। জ্যোতিষ অনুযায়ী অন্যান্য গ্রহের মতো রাহু ও কেতুর শারীরিক অস্তিত্ব নেই। রাহু ও কেতু উত্তর এবং দক্ষিণের দুই গাণিতিক বিন্দুমাত্র (নোড)। এই কারণেও রাহু ও কেতুর নাম একসঙ্গে বলা হয়।
রাহু গাণিতিক বিন্দু হলেও পৃথিবীর উপর রাহুর প্রভাব প্রবল। প্রভাবের কারণে জ্যোতিষশাস্ত্রে রাহুকে গুরুত্বপূর্ণ গ্রহের সমতুল্য স্থান দেওয়া হয়।
বাস্তুশাস্ত্রে রাহুর গুরুত্ব প্রবল। বাস্তুশাস্ত্র মতে বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিক রাহুর স্থান। বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অর্থাৎ রাহুর স্থানে ভারী নির্মাণ করা উচিত। গৃহের দক্ষিণ-পশ্চিম দিক ভাঁড়ার ঘর, অপ্রয়োজনীয় ভাঙা জিনিস রাখার স্থান, প্রসাধন, সিঁড়ি ইত্যাদির জন্য উপযুক্ত।
বাস্তুমতে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে গৃহ সম্প্রসারিত করা উচিত নয়। গৃহের দক্ষিণ-পশ্চিম (রাহুর) দিকে বাড়ির প্রধান দরজা রাখাও শুভ নয়। রাহুর স্থানে প্রধান দরজা থাকলে বাড়ির সদস্যদের অলসতা, দুশ্চিন্তা, আর্থিক সমস্যা এবং মুখ, কান, ঠোঁট, অন্ত্র, গুহ্যদেশের বিভিন্ন রোগ এবং কর্কট রোগের মতো জটিল রোগের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে গৃহের প্রবীণ পুরুষ সদস্যরা সমস্যায় পড়েন।
জন্মছকে রাহুর সঙ্গে রবি, চন্দ্র, মঙ্গল বা বৃহস্পতির সম্পর্ক বর্তমান থাকলে গৃহের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে কিছু না কিছু সমস্যা লেগেই থাকে। সেই ক্ষেত্রে বাস্তু এবং জ্যোতিষশাস্ত্রের জ্ঞান সম্পন্ন অভিজ্ঞ ব্যাক্তির পরামর্শ জরুরি।