—প্রতীকী ছবি।
সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি এবং বুদ্ধির দেব হলেন শ্রী গণেশ। শ্রী গণেশ সিদ্ধিদাতা, অর্থাৎ সকল কাজে সফলতা প্রদান করেন তিনি। এই কারণে সমস্ত শুভ কাজে, এমনকি সমস্ত পুজোর শুরুতে সিদ্ধিদাতার পুজো করা হয়। সিদ্ধিদাতার আশীর্বাদে সমস্ত কাজে সফলতা আসে। দেবাদিদেব মহাদেব এবং দেবী গৌরীর পুত্র শ্রী গণেশ।
সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মের সময় দেবী দুর্গা সকলের সঙ্গে শনিদেবকেও নিমন্ত্রণ করেন তাঁর পুত্রের মুখ দেখে আশীর্বাদ করার জন্য। অনিচ্ছা সত্ত্বেও শনিদেব গৌরী পুত্রকে দর্শন করেন। শনিদেব দর্শন করা মাত্র গণেশের মাথা ভস্মীভূত হয়। এই অবস্থায় ভগবান বিষ্ণুর প্রচেষ্টায় হস্তীমস্তক দিয়ে শ্রী গণেশের পুনর্জীবন দান করা হয়। দেবী দুর্গা ক্রুদ্ধ এবং চিন্তিত হয়ে পড়েন এই রূপ দর্শনের কারণে শ্রী গণেশকে দেবতা রূপে পুজো করা হবে কি না, এই চিন্তায়। অবশেষে সমস্ত দেবতার আশীর্বাদে শ্রী গজানন সিদ্ধি ও সফলতা লাভের দেবতার স্থান পান। এই কারণে সমস্ত শুভ কাজে, এমনকি সমস্ত পুজোর শুরুতে সিদ্ধিদাতার পুজো করা হয়।
স্কন্দপুরাণ মতে ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথি সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মতিথি। বিশ্বাস করা হয়, এই দিনে শ্রী গজানন আশীর্বাদ দানের উদ্দেশ্যে মর্তে আগমন করেন। বিশ্বাস এবং ভক্তিভরে উপাসনা করলে সিদ্ধিদাতা গণেশের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর, শনিবার শ্রী শ্রী গণেশ চতুর্থী।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে–
চতুর্থী তিথি আরম্ভ–
বাংলা– ২১ ভাদ্র, শুক্রবার।
ইংরেজি– ৬ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার।
সময়– দুপুর ৩টে ৩ মিনিট।
চতুর্থী তিথি শেষ–
বাংলা– ২২ ভাদ্র, শনিবার।
ইংরেজি– ৭ সেপ্টেম্বর, শনিবার।
সময়– বিকেল ৫টা ৩৮ মিনিট।
শ্রীশ্রী গণেশ চতুর্থী, বিনায়ক চতুর্থী ব্রত। মহারাষ্ট্রে ১০ দিন ব্যাপী গণেশ পুজোর উৎসব চলে।
গুপ্তপ্রেশ পঞ্জিকা মতে–
চতুর্থী তিথি আরম্ভ–
বাংলা– ২০ ভাদ্র, শুক্রবার।
ইংরেজি– ৬ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার।
সময়– দুপুর ১২টা ১৬ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড।
চতুর্থী তিথি শেষ–
বাংলা– ২১ ভাদ্র, শনিবার।
ইংরেজি– ৭ সেপ্টেম্বর, শনিবার।
সময়– দুপুর ২টো ১২ মিনিট ৪৯ সেকেন্ড।
সৌভাগ্য চতুর্থী ব্রত, সিদ্ধি বিনায়ক ব্রত, শ্রী শ্রী গণেশ পুজো। মহারাষ্ট্রে ১০ দিন ব্যাপী শ্রীশ্রী গণেশ পুজো পালিত হয়।