—প্রতীকী ছবি।
হিন্দু ধর্মের মানুষের কাছে বেল গাছ একটি পবিত্র গাছ। বেলপাতা বা বেল গাছকে আমরা ভগবান শিবের সঙ্গে তুলনা করি। ভারতের প্রায় সব জায়গাতেই বেল গাছ দেখতে পাওয়া যায়। দুর্গাপুজোর সময় ১০৮টি বেলপাতা দেবীকে নিবেদন করা হয়। স্বতঃ, রজ, তম— এই তিনটি গুণ বা ত্রিগুণের অধিকারী হল বেল গাছ।
জ্যোতিষমতে বড়ির কোন দিকে বেল গাছ থাকলে কী উপকার পাওয়া যায়?
উত্তর-পূর্ব দিকে বেল গাছ— সম্পদ প্রাপ্তি হয় ও অশুভ শক্তি থেকে মুক্তি মেলে।
পূর্ব দিকে বেল গাছ— নানা প্রকার সম্পদ ও শান্তি লাভ।
পশ্চিম দিকে বেল গাছ— বুদ্ধিমান ও সুলক্ষণ সম্পন্ন সন্তান লাভ হয়।
দক্ষিণ দিকে বেল গাছ— যে কোনও প্রকার দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করে।
বৈদিক শাস্ত্র মতে বেলপাতাকে অনেক রকম ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
১) বেল পাতার তিনটি পাতা সব সময় একসঙ্গে থাকতে হবে। এই তিনটি পাতার একটি হল ব্রহ্মা, একটি বিষ্ণু এবং একটি মহেশ্বর।
২) এই তিনটি পাতাকে যথাক্রমে তিনটি চোখ বলা হয়।
৩) তিনটি পাতা তিনটি বৈশিষ্ট্য বহন করে। সেগুলি হল, পূজা, স্তোত্র ও জ্ঞান।
৪) বেল গাছের ডাল যথাক্রমে সৃষ্টি, স্থিতি ও লয়কে উপস্থাপিত করে।
৫) বেলপাতার সামনের অংশকে অমুর্যাম বলা হয়।
৬) যে কোনও পুজোর ক্ষেত্রে যদি অসম্পূর্ণ বা ছেঁড়াফাটা বিল্বপত্র অর্পণ করা হয়, তা হলে তা পাপ হিসাবে গণ্য হয়।
৭) শিব পুজোর একটি বিশেষ উপাদান হল বেলপাতা।
শারীরিক প্রয়োজনে বেল গাছ—
১) দুধের সঙ্গে বেলের গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলে রক্তাল্পতার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
২) ঠান্ডা জলে বেল ও মিছরি ভিজিয়ে রেখে শরবত বানিয়ে পান করলে লিভারের একাধিক সমস্যা দূর হয়।
৩) সরষের তেলের সঙ্গে বেল মিশিয়ে যে কোনও ব্যথার জায়গায় মালিশ করলে উপকার পেতে পারেন।
৪) ক্ষতস্থানে বেলের গুঁড়ো লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
৫) চিনির সঙ্গে বেল মিশিয়ে খেলে স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়।