India-Bangladesh Border

ভারতের গা-ঘেঁষে রাস্তা বাংলাদেশের

পশ্চিমবঙ্গে খোলা সীমান্তে ভারত বেড়া দিলে আপত্তি তুলছে বাংলাদেশ। এ দিকে ত্রিপুরার সীমান্তে জ়িরো পয়েন্টের চুক্তি লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ভারতের গা ঘেঁষে গাড়ি যাওয়ার রাস্তা তৈরি করে ফেলেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় মানুষ ও নেতারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ০৬:৩৮
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গে খোলা সীমান্তে ভারত বেড়া দিলে আপত্তি তুলছে বাংলাদেশ। এ দিকে ত্রিপুরার সীমান্তে জ়িরো পয়েন্টের চুক্তি লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ভারতের গা ঘেঁষে গাড়ি যাওয়ার রাস্তা তৈরি করে ফেলেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় মানুষ ও নেতারা।

Advertisement

ত্রিপুরার কংগ্রেস বিধায়ক বীরজিত সিংহ সম্প্রতি বিধানসভায় বলেন, ঊনকোটি জেলায় মনু নদীর পারে বাংলাদেশের দিকে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। মনু নদীর দুই পারে বাঁধ রয়েছে। বাংলাদেশের দিকে বাঁধটিকে আরও চওড়া এবং উঁচু করা হচ্ছে। ফলে আগামী বর্ষার সময়ে ঊনকোটি জেলার কৈলাসহর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়বে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দেবে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, বিরোধী বিধায়কের সঙ্গে সুর মিলিয়েই এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেন ফটিক রায় কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক রাজ্যের মন্ত্রী সুধাংশু দাস। তিনি বলেন, বিষয়টি বর্তমান সময়ে অতন্ত প্রাসঙ্গিক। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় বাঁধের কারণে রাজ্যের জলসম্পদ, পরিবেশ এবং সীমান্তের স্থিতিশীলতার উপরে সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে বিশদ তথ্য-সহ চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অমিত শাহকে। দ্রুত এইসমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে কূটনৈতিক ভাবে বিষয়টি উত্থাপনের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

এরই মধ্যে বিএসএফ বিবৃতিতে দাবি করে, বাঁধ নয়, রাস্তা তৈরি করছিলেন বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। জ়িরো পয়েন্ট লাগোয়া বাংলাদেশের দিকে পায়ে-হাঁটা রাস্তা ছিল। এখন নতুন করে রাস্তাটি আবার তৈরি করা হয়েছে, যেটি বাংলাদেশের দু’টি গ্রামকে যুক্ত করেছে। বিএসএফের দাবি, গত নভেম্বরে বাংলাদেশের সীমন্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-র কাছে তারা এ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানানোর পরে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

যদিও স্থানীয় মানুষ ও কৈলাসহরের রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য, বিএসএফ আপত্তি তোলার আগেই ওই রাস্তা তৈরির কাজ অনেকটাই শেষ হয়ে গিয়েছে। বরং অন্য অংশে নির্মাণকাজ চলছে। চুক্তি অনুযায়ী, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে যে কোনও নির্মাণকাজ করতে হলে দুই দেশের পারস্পরিক সম্মতির প্রয়োজন হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, চুক্তির তোয়াক্কা না করেই জ়িরো পয়েন্টের দেড়শো গজের মধ্যে কাঁচা রাস্তাটিকে উঁচু ও চওড়া করে তৈরি করেছে বাংলাদেশ। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এবং বিজিবির গাড়ি সহজেই সীমান্তের কাছে চলে আসতে পারবে। তাতে দেশের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়বে। বিএসএফের গাফিলতিতে এই পরিস্থিতির হয়েছে বলে বীরজিত অভিযোগ তুলেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement