খাওয়ার ঠিক কতক্ষণ পরে হাঁটলে দ্রুত ওজন ঝরবে? ছবি: ফ্রিপিক।
তারকাদের মতো তন্বী কোমর, নির্মেদ পেট চান? তবে তো খানিক পরিশ্রম করতেই হবে। কিন্তু কী করবেন? হাঁটাহাঁটি , ব্যায়াম, না কি ওজন নিয়ে শরীরচর্চা!
ছিপছিপে শরীর পেতে অনেক রকম শরীরচর্চাই করা যায়। কিন্তু জানেন কি, দুপুরে এবং রাতে খাওয়ার পরে আধ ঘণ্টা হাঁটলেই, আপনার ইচ্ছাপূরণ হতে পারে?
আমেরিকার ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের একটি গবেষণা বলছে, দুপুর হোক কিংবা রাত, খাওয়ার পর ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। তা হলেই বশে থাকবে ওজন। কিন্তু খাওয়ার কত ক্ষণ পরে হাঁটতে হবে? জোরে, না কি ধীরে? কেমন গতিতে হাঁটলে মেদ ঝরে দ্রুত?
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খাওয়ার এক ঘণ্টা পরে হাঁটলে যতটা উপকার মিলছে, তার চেয়ে বেশি লাভ হচ্ছে সময় নষ্ট না করে হাঁটলে। অর্থাৎ খাওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব হাঁটা শুরু করতে হবে। ফলাফলে দেখা গিয়েছে, সামান্য হাঁটাহাঁটিতে এক মাসে তিন কেজি ওজন কমেছে।
খাওয়ার পর হাঁটার উপকারিতা
অনেকেরই পেট ফাঁপা, হজমের সমস্যা থাকে। খাওয়ার পর হাঁটলে হজম ভাল হয়, রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। বশে থাকে রক্তচাপও। কার্বোহাইড্রেট থেকে শরীর শক্তি পায়। কিন্তু শরীরের যতটা শক্তি প্রয়োজন, তার চেয়ে বেশি নিয়মিত খেতে থাকলে মেদ জমে। হাঁটাহাঁটি এই ওজন বৃদ্ধি বা মেদ জমার প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
কিন্তু, কাজের ফাঁকে খেয়েদেয়ে হাঁটার সময় কারই বা থাকে? তাই সুবিধামতো কিছুটা সময় বার করে নিতে পারেন।
১. অফিসে অনেক সময় জরুরি ফোন করতে হয়। সময় বাঁচাতে খাওয়ার পর ফোন নিয়ে বেরিয়ে যেতে পারেন। অফিস চত্বরেই ফাঁকা জায়গা থাকলে, খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করতে পারেন, সেই সময়েই ফোনে কথাও সেরে নিতে পারেন। তবে ফোন নিয়ে জনবহুল রাস্তায় হাঁটাহাঁটি বিপজ্জনক হতে পারে। এ ব্যাপারে সাবধনতা অবলম্বন জরুরি।
২. ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের ডায়াবিটিস সংক্রান্ত একটি গবেষণা বলছে, এক বারে টানা ৪৫ মিনিট হাঁটার চেয়ে যদি কোনও ডায়াবেটিক রোগী দিনে তিন বার খাওয়ার পর মিনিট পনেরো হেঁটে নেন, তাতে বেশি লাভ হয়।
৩. একই গতিতে না হেঁটে যদি প্রথম ৫-১০ মিনিট একটু আস্তে, তার পর একটু জোরে হাঁটা যায়, তা হলে ক্যালোরি দ্রুত ক্ষয় হয়। এ ভাবে প্রথমে আস্তে, তার পর গতি বাড়িয়ে এবং ফের আস্তে হাঁটলে মেদ ঝরবে দ্রুত।