বুদ্ধি বাড়ানোর কৌশল। ছবি- সংগৃহীত
বেশির ভাগ অভিভাবকের ধারণা, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক ভাবেই শিশুর বুদ্ধির বিকাশ ঘটবে। এর জন্য আলাদা করে বোধ হয় কিছু করার প্রয়োজন নেই। এই ধারণা যে একেবারে ভুল, তা নয়। আবার পুরোপুরি ঠিকও নয়। কারণ, প্রতিটি শিশুর মস্তিষ্কের গঠন এবং কার্যকারিতা আলাদা। তাই তাদের বুদ্ধি বা মেধাও এক রকম নয়।
চিকিৎসকদের মতে, শিশুদের ক্ষেত্রে মেধার বা বুদ্ধির বিকাশ অনেকটা নির্ভর করে জিনের উপর। সৃজনশীল কাজ বা এমন কোনও খেলা যাতে বুদ্ধি খরচ করতে হয়, তাতে নিযুক্ত করার কথা বলা হয়। পাশাপাশি, শরীরচর্চা এবং খাওয়াদাওয়ার উপরও জোর দিতে বলেন পুষ্টিবিদরা। এমন কিছু খাবার আছে, যেগুলি বাচ্চাদের প্রতি দিন খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে পারলে, তাদের মস্তিষ্কের উন্নতি হবে বলে মনে করেন তাঁরা।
শিশুদের বৌদ্ধিক বিকাশে সহায়ক এমন খাবারগুলি কী কী?
১) পালং শাক
টাটকা শাকসব্জি সব সময়েই স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। কিন্তু শিশুদের বুদ্ধির বিকাশে বিশেষ ভাবে সহায়ক ভিটামিন কে, লুটেইন, ফোলেট এবং বিটা-ক্যারোটিনে সমৃদ্ধ পালং শাক। এই সময় বাজারে পালং শাক পাওয়া যায়। তাই ডাল, স্যুপ, স্মুদি, স্যালাডের মতো পদেও পালং শাক যোগ করার চেষ্টা করুন।
২) দানাশস্য
মস্তিষ্কের স্নায়ু ভাল রাখতে সাহায্য করে ভিটামিন বি। ফাইবার ছাড়াও দানাশস্যে যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন বি মজুত রয়েছে। গম, যব, জোয়ার, ভুট্টা, তিল, তিসির বীজ বিভিন্ন ভাবে খাবারে যোগ করার চেষ্টা করুন।
৩) ওটস
অন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষায় ওটস বিশেষ উপকারী। পাশাপাশি, ভিটামিন ই এবং বি, জ়িঙ্ক, পটাশিয়ামের গুণে সমৃদ্ধ ওটস মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে।
৪) মাছ
শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দু'টি যৌগ হল ওমেগা ৩ এবং ফ্যাটি অ্যাসিড। প্রতি দিন খাবারের পাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছ যোগ করলে এই যৌগ দু'টির কোনও অভাব ঘটবে না। সামুদ্রিক মাছ খেতে পারলে আরও ভাল।
৫) ডিম
প্রোটিন, অ্যালবুমিন, ফ্যাটি অ্যাসিড-সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় যৌগে ভরপুর ডিম, বাচ্চাদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
৬) অ্যাভোকাডো
বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর অ্যাভোকাডো শিশুদের বৌদ্ধিক বিকাশে সহায়তা করে।
৭) ডার্ক চকোলেট
গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, ডার্ক চকোলেট খেলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। এই বিশেষ ধরনের চকোলেটে থাকা ফ্লাভনয়েড, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ় বাড়ন্ত বয়সের বাচ্চাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে বিশেষ ভাবে সহায়ক।