দ্রুত সন্তানধারণের জন্য অনেক মহিলাই সঙ্গমের ঠিক পরই মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করেন।
বাবা-মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া নেহাত সহজ নয়। তাই ভাবনাচিন্তা করে যাঁরা এই সিদ্ধান্ত নেন, তাঁরা আর দেরি করতে চান না। তবে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার চেষ্টা করার সময়ে অনেকেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। দীর্ঘ অপেক্ষায় আরও মাসিক চাপ বাড়তে শুরু করে। তার প্রভাব পড়ে শরীরের উপরও। ফলে অন্তঃসত্ত্বা হতে আরও সময় লেগে যায়। বাবা-মা হওয়ার এই পর্যায়ে দ্রুত সন্তানধারণের সময় দম্পতিরা এমন অনেক অদ্ভুদ জিনিস করেন যার আদৌ কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে কি না, সেই বিষয় যথেষ্ট সংশয় আছে। রইল এমনই কয়েয়টি অভ্যাসের হদিস।
১) দ্রুত সন্তানধারণের জন্য অনেক মহিলাই সঙ্গমের ঠিক পরই মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করেন। তাঁদের ধারণা, মেনস্ট্রুয়াল কাম শ্রোণি এলাকায় দীর্ঘ ক্ষণ শুক্রাণু ধরে রাখবে আর তাতেই বেড়ে যাবে মা হওয়ার সম্ভাবনা।
২) সন্তানধারণের আশায় অনেক দম্পতি দাড়িয়ে মিলন করেন। তাঁদের ধারণা এই পরিস্থিতিতে সঙ্গমের ফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।
৩) একই কারণে অনেকে মিলনের আগে কাশির সিরাপ খান! শুনতে অবাক লাগলেও অনেকেই এমনটা করেন। বেশির ভাগ কাশির ওষুধে গুয়াইফেনেসিন নামক যৌগ থাকে যা জরায়ুমুখের মিউকাসের ঘনত্বকে পাতলা করে দিতে পারে, আর তাতেই নাকি শুক্রাণুর গতিবেগ বেড়ে যায়। ফলে ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলনে সুবিধা হয়। একই কারণে অনেকে মিলনের আগে আনারসও খেয়ে থাকেন। কেউ কেউ আবার নানা ভেষজ চায়ের উপরও ভরসা রাখেন।
৪) অনেক মহিলা আছেন যাঁরা সঙ্গমের পর প্রস্রাব করেন না। তাঁরা মনে করেন এতেই নাকি সন্তানধারণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তবে এরও কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। একবার শুক্রণু শরীরে প্রবেশ করলে প্রস্রাবের মাধ্যমে তা বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা কম।
৫) অনেকের মনে করেন মন থেকে না চাইলে কোনও কাজই সফল হয় না। সন্তানধারণের ইচ্ছে থাকলেও অনেক মহিলাই গোটা প্রক্রিয়াটি নিয়ে বেশ ভীত থাকেন। ভীতি কাটাতে অনেক দম্পতিই সঙ্গমের পূর্বে ‘হিপনোথেরাপি’-এর সাহায্য নেন।