হাড়ের যত্নের কথা বললেই অনেকের মাথাতে প্রথমে আসে ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার কথা। ছবি: প্রতীকী
বয়স বাড়লে পাকা চুল ঢেকে ফেলা যায় রঙে। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড় ক্ষয়ে গেলে তা প্রতিরোধ করা সহজ নয়। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দেয় অস্টিয়োপরেসিস। হাড়ের যত্নের কথা বললেই অনেকের মাথাতে প্রথমে আসে ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার কথা। হাড় ভাল রাখতে ক্যালশিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া দরকার, এ কথায় ভুল নেই। কিন্তু শুধুই কি ক্যালশিয়াম পেলে হাড় ভাল থাকবে? না। হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ক্যালশিয়ামের পাশাপাশি আরও কিছু পুষ্টির উপাদান দরকার।
ভিটামিন কে: হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ভিটামিন কে অত্যন্ত জরুরি একটি উপাদান। হাড়ের উপর কতটা ক্যালশিয়াম সঞ্চিত হবে তা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে ভিটামিন কে। শরীর যাতে যথেষ্ট ভিটামিন কে পায়, তার জন্য পাতে রাখুন ব্রকোলি, পালং শাক, বাঁধাকপি ও লেটুস।
ভিটামিন ডি
ভিটামিন কে-র পাশাপাশি হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে ভিটামিন ডি-ও অত্যন্ত জরুরি। ভিটামিন ডি ছাড়া শরীর ক্যালশিয়াম শোষণ করতে পারে না। পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি ছাড়া খাবার থেকে প্রাপ্ত ক্যালশিয়ামের মাত্র ১০-১৫ শতাংশ শোষিত হয় দেখে। ভিটামিন ডি পেতে দিনে অন্তত মিনিট ১৫ সূর্যের আলোয় দাঁড়ান। আর পাতে রাখুন সয়াবিন, পালং শাক, স্যামন মাছ।
পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেলে হাড় ভঙ্গুর হওয়ার আশঙ্কাও অনেকটাই কমে যায়। ছবি: প্রতীকী
কেবল কোষের বৃদ্ধির জন্যই যে প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে, তা নয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেলে হাড় ভঙ্গুর হওয়ার আশঙ্কাও অনেকটাই কমে যায়। নানা রকমের ডাল, মটরশুঁটি, মাংস, ডিম ও দুগ্ধজাত খাবার খেলে মিটতে পারে প্রোটিনের ঘাটতি।
ম্যাগনেশিয়াম
হাড়ের অন্তবর্তী গ্রন্থিগুলিতে ম্যাগনেশিয়াম থাকে।অস্টিওপোরোসিসের মতো অসুখের ঝুঁকিও কমায় ম্যাগনেশিয়াম। নানা রকম বীজ, বাদাম ও দানাশস্য থেকে ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায়।
ভিটামিন সি
হাড়ের ঠিকমতো বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন ভিটামিন সি-র। এ ছাড়া এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সহায়তা করে। তাতে সামগ্রিক ভাবে হাড়ের অসুখের ঝুঁকিও কমে। তাই শীতের এই মরসুমে নিয়ম করে খান কমলালেবু ও মুসম্বি।