রোজের কিছু ব্যায়াম, যোগাসনের পাশাপাশি শ্বাস নেওয়া এবং ছাড়ার স্বাস্থ্যকর অভ্যাসে শক্তিশালী হয়ে উঠবে প্রতিরোধ ক্ষমতা। ছবি: সংগৃহীত
শীতে বাড়ছে মরসুমি সংক্রমণের প্রকোপ। ঠান্ডা লাগা, জ্বর, সর্দিকাশি লেগেই রয়েছে। আট থেকে আশি— অনেকেই ভুগছেন শীতকালীন এই অসুখে। তার উপর দোসর করোনার নতুন স্ফীতি। চিনের করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। নতুন করে করোনা হানার মুখোমুখি হতে হবে কি না, তা নিয়েও চিন্তিত সাধারণ মানুষ থেকে চিকিৎসক মহল। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের সুরক্ষিত রাখা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। সব ঠান্ডা লাগা যেমন করোনা নয়, তেমনই একটু-আধটু ঠান্ডা লাগলেও তা অবহেলা করা বোকামি। আতঙ্কিত হয়ে পড়লে চলবে না। বরং স্থিত থেকে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে।
করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হতে প্রথম থেকে নিষেধ করে আসছেন চিকিৎসকরা। তাতে শরীরের ক্ষতিই হয় । বরং চিন্তা না করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা জরুরি। শীতকালীন সংক্রমণ কিংবা করোনা— যাতে যে কোনও রোগের সঙ্গে লড়াই করতে পারে শরীর। তার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া তো জরুরি, পাশাপাশি নিশ্বাসের ব্যায়ামেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। রোজের কিছু ব্যায়াম, যোগাসনের পাশাপাশি শ্বাস নেওয়া এবং ছাড়ার স্বাস্থ্যকর অভ্যাসে শক্তিশালী হয়ে উঠবে প্রতিরোধ ক্ষমতা।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ‘ব্রিদিং’ করা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত
রিল্যাক্সড ব্রিদিং
আরাম করে সোজা হয়ে বসুন। কাঁধ ও ঘাড়ের পেশি শিথিল করে ধীরে ধীরে নাক দিয়ে দীর্ঘ শ্বাস নিন। এ বার ঠোঁট সরু করে ফুঁ দেওয়ার মতো করে ধীরে ধীরে মৃদু গতিতে শ্বাস ছাড়ুন। এক মিনিট টানা এই অনুশীলনটি করতে হবে। তবে মনে রাখবেন, আরামই হল এই অনুশীলনের লক্ষ্য। ফলে কোনও রকম শারীরিক অস্বস্তি হলে তৎক্ষণাৎ বন্ধ করে দিতে হবে এটি।
ডিপ ব্রিদিং
সোজা হয়ে বসে তিন সেকেন্ড ধরে নাক দিয়ে যতটা সম্ভব গভীর শ্বাস টানুন। সম্ভব হলে তিন সেকেন্ড শ্বাস ধরে রাখুন। তিন সেকেন্ড পর নাক কিংবা মুখ যে দিক থেকে সুবিধা হয়, শ্বাস ত্যাগ করুন। এক মিনিট টানা এই অনুশীলন করুন।
প্রোন ব্রিদিং
কোভিডের সময়ে দেহে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে অনেকেই উপুড় হয়ে শুয়ে শ্বাস নেওয়া বা প্রোন ব্রিদিং করেছিলেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই অনুশীলন ঠিক ভাবে করা বেশ মুশকিল। তা ছাড়া, একটানা বেশ কিছু ক্ষণ এই ব্যায়াম করতে হয়। ফলে ঘাড় ও পিঠের সমস্যা থাকলে এটি করা বেশ অসুবিধাজনক। খাবার খেয়ে ওঠার পর বেশ কিছু ক্ষণ প্রোন ব্রিদিং করা যায় না। তবে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নিয়ে করতে পারেন।