মহিলার মস্তিষ্কে কী ভাবে গেল জীবন্ত কৃমি? ছবি: সংগৃহীত।
মহিলার মস্তিষ্কে পাওয়া গেল ৮ সেন্টিমিটার লম্বা জীবন্ত কৃমি। ৬৪ বছর বয়সি সেই মহিলা অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরার বাসিন্দা। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই মহিলা দীর্ঘ দিন ধরে ডায়েরিয়া, পেটে ব্যথা, জ্বরে ভুগছিলেন। শুধু তা-ই নয়, ওই মহিলার মধ্যে কিছু মানসিক সমস্যাও দেখা দিতে শুরু করেছিল। ভুলে যাওয়া, মানসিক চাপের মতো কিছু লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করেছিল মহিলার মধ্যে।
মহিলার মস্তিষ্কে এমআরআই করে চিকিৎসকেরা অবাক হয়ে যান। মস্তিষ্কে খোঁজ মেলে জীবন্ত কৃমির। মহিলার পরিবারের লোকজনকে জানানো হয়, তাঁর জটিল অস্ত্রোপচার করতে হবে। এই জাতীয় কৃমি সাধারণত পাইথনের শরীরে পাওয়া যায়। মানুষের মস্তিষ্কে এমন কৃমির খোঁজ মিলল এই প্রথম। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই মহিলার বাড়ির পিছন দিকে একটি লেক রয়েছে, সেখানে পাইথন সাপের হদিস প্রায়শই মেলে। তাঁদের অনুমান, পাইথনের শরীর থেকে এই কৃমি বর্জ্য আকারে বেরিয়ে শাক-সব্জির সঙ্গে মিশে গিয়েছে। কোনও ভাবে খাবারের মাধ্যমেই এই কৃমি মহিলার শরীরে প্রবেশ করেছে।
এর আগে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। তাই চিকিৎসকের আশঙ্কা, পশুর শরীর থেকে মহিলার শরীরে কোনও রকম রোগের সংক্রমণের হয়েছে কি না। পশুর শরীর থেকে মানুষের শরীরে রোগের সংক্রমণ হলে তাকে জ়ুনোটিক ডিজিজ় বলে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে ৭৫ ভাগ সংক্রমণ কিন্তু জ়ুনোটিক হয়, এর মধ্যে কোভিডও অন্যতম।
অস্ত্রোপচরের পর মহিলার মস্তিষ্ক থেকে সেই কৃমি বার করা হয়েছে। তবে এখনও মহিলা হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর শরীরে অন্য কোনও সংক্রমণ হয়েছে কিনা, তা যাচাই করে দেখছেন চিকিৎসকেরা।