কেন অল্পবয়সিদের মধ্যে হৃদ্রোগের হার বাড়ছে? ছবি: শাটারস্টক।
শিশু অবস্থায় কয়েক ঘণ্টার নিষ্ক্রিয়তা পরবর্তী জীবনে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো অসুখের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা এমনই দাবি করছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ওজন এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকলেও শৈশবে খেলা ও শরীরচর্চার অভাব বড় বয়সে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। খুদেরা এখন মাঠেঘাটে খেলতে যাওয়ার পরিবর্তে বাড়িতে ভিডিয়ো গেম খেলতে বেশি অভ্যস্ত।
শিশুদের ‘স্ক্রিন টাইম’ অর্থাৎ, ফোন, টিভি, ল্যাপটপের সামননে থাকাকর সময় যত বাড়ছে, বড় হয়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হোয়ার ঝুঁকিও ততটাই বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। তাঁদের মতে, ভবিষ্যতে ফিট থাকতে হলে, হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে হলে, ছেলেবেলা থেকেই যাপনে বদল আনতে হবে। ছোট থেকেই খেলা, শরীরচর্চা করে দিনের বেশির ভাগ সময় সচল থাকতে হবে।
শিশুদের ‘স্ক্রিন টাইম’ অর্থাৎ, ফোন, টিভি, ল্যাপটপের সামননে থাকাকর সময় যত বাড়ছে, বড় হয়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হোয়ার ঝুঁকিও ততটাই বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।
একটা বয়সের পর থেকে আমরা ওজন নিয়ে সচেতন হই। শিশুদের ওজন বাড়লে তা নিয়ে মাথা ঘামান না অনেকেই। কখনও পড়ার অতিরিক্ত চাপ, কখনও আবার পরীক্ষার তোড়জোড়— শিশুরাও এখন বড়দের মতো প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ে নেমে পড়েছে। এর ফলে এক জায়গায় দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকার প্রবণতাও বাড়ছে। এখন থেকেই শিশুদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে বাবা-মায়েদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। শিশুর অ্যাকটিভিটি অর্থাৎ, সচলতা বৃদ্ধির দিকে মনোযোগ দিন। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলা, নাচ, সাঁতার— সব বিষয়ে তাদের উৎসাহী করে তুলতে হবে। ‘স্ক্রিন টাইম’ বেঁধে দিন।