কয়েকটি টোটকা জানা থাকলেই সহজে দাঁতের দাগছোপ দূর করতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
খাওয়ার সময়ে এত খেয়াল থাকে না। কোনটি খেলে দাঁতের খাঁজে আটকে থাকবে, কোন পানীয়ে চুমুক দিলে হলদেটে ছোপ পড়বে— এত ভেবে আর যা-ই হোক, পছন্দের খাবার খাওয়া যায় না। যদিও নিয়ম করে দু’বেলা দাঁত মাজেন, মাঝেমধ্যে মাউথওয়াশ দিয়ে কুলকুচি করে নেন— তবু দাঁত মুক্তোর মতো সাদা হচ্ছে না। চিকিৎসকেরা বলছেন, দাঁতের রং নষ্ট হওয়ার পিছনে অ্যাসিড এবং ট্যানিন, এই দু’টি উপাদানের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
চা-কফি-ওয়াইনের মতো পানীয়ের মধ্যে ট্যানিন রয়েছে। তাই ঘন ঘন এই সব পানীয়ে চুমুক দিলে দাঁতে হলদেটে ছোপ পড়তে পারে। শুধু তা-ই নয়, মুখে ব্যাক্টেরিয়ার দৌরাত্ম্যও বাড়তে পারে। আবার, কাঁচা হলুদ, বিট, টম্যাটো সস্, বেরিজাতীয় ফল নিয়মিত খেলেও দাঁতে তার ছোপ পড়তে পারে। ফল বা সব্জির নিজস্ব রং এবং অ্যাসিড— দু’টিই দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। ফলের মধ্যে শর্করাও থাকে। প্রাকৃতিক হলেও তা দাঁতের খাঁজে আটকে থাকলে মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। মাঝেমধ্যে ‘স্কেলিং’ করালে সেই ছোপ উঠে যায়। তবে খাওয়ার পরে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে পারলেই এই সমস্যা অনেকাংশে রুখে দেওয়া যায়।
দাঁতের দাগছোপ থেকে মুক্তি পাবেন কী করে?
১) দাঁতে ছোপ পড়তে পারে এমন খাবার বা পানীয় না খেতে পারলেই ভাল হয়। একান্ত যদি খেতেই হয়, তা হলে প্রতি বার খাওয়ার পর সঠিক ভাবে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
২) সময় এবং সুযোগ থাকলে খাবার খাওয়ার পর ব্রাশ করতে হবে। চিকিৎসকেরা বলছেন, খুব ভাল হয় যদি ফ্লুরাইড-যুক্ত মাজন দিয়ে দাঁত মাজতে পারেন।
৩) টক আচার, চাটনি বা অ্যাসিড-যুক্ত খাবার খাওয়ার পর মুখ ধোয়া বা দাঁত মাজা যাবে না। অন্ততপক্ষে আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। না হলে সহজেই দাঁতের এনামেল স্তর উঠে যাবে।
৪) শক্ত খাবার খাওয়ার পর ফ্লস ব্যবহার করতে পারেন। তাতে দাঁতের খাঁজে আটকে থাকা খাবার সহজেই বেরিয়ে আসে। তবে ফ্লস ব্যবহার করার সঠিক পদ্ধতি জেনে নিতে হবে।
৫) চটচটে, মিষ্টিজাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে পারলে ভাল হয়। বদলে ক্যালশিয়াম-সমৃদ্ধ খাবার খেলে হাড়ের পাশাপাশি দাঁতও শক্ত হবে।