ছবি: সংগৃহীত।
চুলের যত্নে তেল অপরিহার্য। তাই সপ্তাহে অন্তত এক বার হলেও পছন্দ মতো তেল মাথায় মেখে নেন। তবে যাঁদের চুল পাতলা, মাথার ত্বক তৈলাক্ত, তাঁরা তেল মেখে বেশি ক্ষণ থাকতে চান না। স্নান করার আধ ঘণ্টা আগে মেখে ধুয়ে ফেলেন। আবার, ব্যতিক্রমও রয়েছে। এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা মাথায় তেল মেখে গোটা রাত রেখে দেন। তাতে চুলের বাড়বৃদ্ধি বেশি হয়? এ নিয়ে নানা মুনির নানা মত। তবে অধিকাংশেরই মত, তাতে উপকার কিছুই হয় না। বরং বেশি তেল মাখলে মাথার ত্বক আরও তেলতেলে হয়ে যায়। চুলের যত্নই হোক বা নতুন চুল গজানো, তার জন্য তেল মাখার সঠিক পদ্ধতি জেনে রাখা প্রয়োজন।
কোন পদ্ধতিতে তেল মাখলে নতুন চুল গজাবে?
১) চুলের জন্য সব সময়ে হালকা বা কম ঘনত্ব-যুক্ত তেল বেছে নেওয়াই ভাল। তেমন তেল না থাকলে অন্য তেলের সঙ্গে বেশি ঘনত্ব-যুক্ত তেল মিশিয়ে পাতলা করে নেওয়া যেতে পারে। নতুন চুল গজানোর জন্য জবা, রোজ়মেরি, ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে নারকেল তেল মাখা যেতে পারে।
২) এসেনশিয়াল অয়েল কিন্তু চুলের জন্য ভাল। যে কোনও ধরনের তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা রোজ়মেরি, ল্যাভেন্ডার, ইউক্যালিপ্টাস বা লেমনগ্রাস এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিলে মাথায় মাখার তেলের কার্যগুণ বৃদ্ধি করে নেওয়া যেতে পারে।
৩) মাথায় মাখার মিনিট দশেক আগে তেল হালকা গরম করে নিন। তার পর কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। তবে খুব গরম তেল মাথায় মাখা যাবে না। মাথার ত্বকে অস্বস্তি না হয়, এমন তাপমাত্রায় এলে তেল মাখা যাবে।
৪) এ বার মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল ভাল করে আঁচড়ে নিন। খেয়াল রাখতে হবে চুলে যেন কোনও ভাবে জট না থাকে। খুব ভাল হয়, অল্প অল্প চুল ভাগ করে সিঁথে কেটে রাখতে পারলে। তেল মাখতে সুবিধা হবে। মাথার ত্বকে সর্বত্র সমান ভাবে তেল পৌঁছবে।
৫) আঙুলের ডগা দিয়ে হালকা হাতে তেল মেখে, মিনিট পনেরো মাসাজ করতে পারেন। খুব বেশি ঘষাঘষি কিন্তু করা যাবে না। এ বার গরম জলে তোয়ালে ডুবিয়ে ভাল করে নিংড়ে মাথায় জড়িয়ে রাখুন।
৬) মিনিট দশেক পর তোয়ালে খুলে ফেলুন। চাইলে তেল মেখে সারা রাত রেখে দিতে পারেন। না হলে আধ ঘণ্টা পর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে চুল ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন।
৭) মাথায় তেল মাখার পর কখনওই চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন না। তাতে কিন্তু চুল ঝরে পড়ার পরিমাণ উল্টে বেড়ে যেতে পারে। তেল মাখার পর অনেকে টেনে চুল বেঁধে রাখেন। এটিও চুলের জন্য ক্ষতিকর।