সইফ আলি খান। —ফাইল চিত্র।
বিত্তবানের ঘরে ঢুকে মহামূল্য কোনও সামগ্রী হাতিয়ে নেওয়াই ছিল শরিফুল ইসলাম শেহজা়দের উদ্দেশ্য। গত ১৬ জানুয়ারি মুম্বইয়ের অভিজাততম বান্দ্রা এলাকায় সইফ আলি খান ও করিনা কপূরের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে সে কারণেই ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। ধরা পড়ার পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, কোনও ভাবেই জানতেন না কার ঘরে ঢুকছেন। এমনকি সইফ আলি খান বলে কোনও অভিনেতাকেও চিনতেন না তিনি। তবে শরিফুল ভালই চেনেন শাহরুখ খানকে।
ঘটনার পরই অভিযোগ উঠেছিল শুধু সইফের ফ্ল্যাট নয়, এক দুষ্কৃতীকে দেখা গিয়েছে তাঁর সৎগুরু শরণ আবাসন থেকে খানিক দূরে বলিউডের বাদশাহ শাহরুখ খানের বাংলো ‘মন্নতে’র আশেপাশেও। মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার ডিসিপি দীক্ষিত গেদাম জানিয়েছিলেন, ১৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে ‘মন্নতে’র আশপাশে দেখা যায় ওই ব্যক্তিকে। তবে কড়া প্রহরা এবং কুকুরের চিৎকারে ‘মন্নতে’র উঁচু পাঁচিলের বাইরে থেকেই পালিয়ে আসতে হয় শরিফুলকে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ। যদিও এ বিষয়ে কেউ কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে শরিফুল বলেছেন, আসলে তিনি শাহরুখ খানকে একঝলক দেখতেই তাঁর বাংলোর সামনে গিয়েছিলেন। শরিফুল জানিয়েছেন, তাঁকে নাকি সুপারস্টার শাহরুখ খানের মতোই দেখতে। পরিবার ও বন্ধুদের কাছে এমনই শুনে আসছেন।
গত রবিবার ঠাণের এক শ্রমিক বসতি থেকে গ্রেফতার করা হয় শরিফুলকে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি মোবাইল ফোন, টুপি, গলার একটি উড়নি এবং জামাকাপড়, যা ঘটনার পর বদলে ফেলেছিলেন তিনি। তবে যে ছুরি দিয়ে সইফকে আক্রমণ করেছিলেন তার ভাঙা অংশ এখনও উদ্ধার হয়নি।