শেষপাতে মিষ্টিমুখ না করলে অনেকেরই মন ভাল থাকে না, আবার ডায়েটেরও চিন্তা রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
ডায়েট কড়াকড়ির মধ্যেও শেষপাতে মিষ্টিমুখ না করলে মন ভাল থাকে না অনেকের। ডায়েট করছেন মানেই একেবারে মিষ্টিমুখ করা যাবে না, এমনটা কিন্তু নয়। শরীরে বাড়াবাড়ি রকমের সমস্যা না থাকলে মাঝেমধ্যে খাদ্যতালিকায় মিষ্টি কিন্তু রাখাই যায়। তবে সে ক্ষেত্রে দোকানের রসগোল্লা, চমচম, সন্দেশ নয়, বাড়িতে বানানো কিছু স্বাস্থ্যকর মিষ্টি রাখতে পারেন পাতে। রইল এমন কয়েকটি মিষ্টির হদিস, যা ওজন ঝরানোর ডায়েটে থেকেও খেতে পারেন আপনি।
মাখানা ক্ষীর: ননস্টিক কড়াইতে অল্প একটু ঘি দিয়ে মাখানাগুলি অল্প আঁচে কড়া করে ভেজে নিন। এ বার মাখানার মধ্যে একটি এলাচ দিয়ে হামনদিস্তা দিয়ে গুঁড়ো করে নিন। নিয়ে লো ফ্যাট দুধকে ভাল করে জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিন। এ বার মাখানার গুঁড়ো দিয়ে খানিক ক্ষণ আরও ঘন করে নিন। এ বার কয়েক ফোঁটা স্টিভিয়া দিয়ে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।
ডায়েট করাকালীন মাখানা ক্ষীর খেতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
ওট্স লাড্ডু: একটি পাত্রে ওট্স, তিসির বীজ গুঁড়ো, মধু, খেজুর বাটা, কাজুবাডাম গুঁড়ো, জায়ফল গুঁড়ো, দারচিনির গুঁড়ো, আর পিনাট বাটার মিশিয়ে নিন ভাল করে। এ বার হাতের তালুতে সামান্য ঘি নিয়ে ছোট ছোট গোলা বানিয়ে লাড্ডুর মতো পাকিয়ে নিন। তৈরি হয়ে যাবে ওট্স লাড্ডু।
রাগি হালুয়া: এক কাপ রাগির আটার মধ্যে তিন কাপ জল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এ বার ননস্টিক পাত্রে মিশ্রণটি ঢেলে ঘন করে নিন। এ বার মিশ্রণে গুড় মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে দিন। মিশ্রণটি ঘন হয়ে এলে এলাচ গুঁড়ো, ঘি, আর কাজুবাদামের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। গরমা গরম পরিবেশন করুন রাগি হালুয়া।