রোজ টক দই খেতে ভাল না লাগলে পাহাড়ি রায়তা করে খেতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
গরম কমেছে। তাপপ্রবাহের বদলে মাঝেমাঝেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। তা সত্ত্বেও অস্বস্তি কিন্তু কমেনি। বাইরে বেরোলেই তা টের পাওয়া যাচ্ছে। বর্ষাকালেও বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ একটুও কমেনি। ফলে গরমের হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই ভরসা রাখছেন আইসক্রিম, নরম পানীয়ের উপর। এতে সাময়িক ভাবে স্বস্তি পাওয়া গেলেও এই ধরনের খাবারে ওজন বেড়ে যেতে পারে। তাই যতটা সম্ভব এগুলি এড়িয়ে চলাই জরুরি। তবে শরীর ঠান্ডা রাখতে বিকল্প কিছু খোঁজা জরুরি। সে ক্ষেত্রে টক দই কিন্তু বিকল্প সমাধান হতে পারে। গরমে রোজ টক দই খেতেন অনেকেই। তবে শুধু দই খেতে সব সময়ে ভাল লাগতে না-ও পারে। সে ক্ষেত্রে টক দই আর শসা দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন পাহাড়ি রায়তা।
বাড়িতে রায়তা বানিয়ে খান অনেকই। তবে এই রায়তার স্বাদ খানিক আলাদা। উত্তরাখণ্ডে এই রায়তা খাওয়ার চল রয়েছে। মাঝেমাঝে নয়, রোজ যদি খেতে পারেন, তা হলে উপকার পাওয়া যাবে। এই পাহাড়ি রায়তা ওজন কমানোর জন্যও দারুণ উপকারী। রোগা হতে যাঁরা চাইছেন, রোজের পাতে রাখতে পারেন এই রায়তা। বাড়তি মেদ ঝরে গিয়ে ছিপছিপে হবে শরীর। কী ভাবে বানাবেন এই বিশেষ রায়তা?
রায়তা বানাতে প্রয়োজন দই, শসা, ধনেপাতা, জিরে গুঁড়ো, হলুদ, রসুন, কাঁচা লঙ্কা, নুন আর সর্ষে। প্রথমে কাঁচালঙ্কা, রসুন আর সর্ষে একসঙ্গে বেটে থকথকে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এ বার অন্য একটি পাত্রে অনেকটা দই, শসা কুচি, ধনেপাতা, জিরে গুঁড়ো আর সর্ষের মিশ্রণটি দিয়ে একসঙ্গে ফেটিয়ে নিলেই তৈরি পাহাড়ি রায়তা। বিরিয়ানি হোক কিংবা পরোটা, সঙ্গে রাখতে পারেন এই রায়তা। এই রায়তা বেশ সুস্বাদু হয়। ফলে শুধুও খাওয়া যেতে পারে।