নিরামিষ খাবারের পুষ্টিতে শরীর থাকুক সুস্থ। ছবি: সংগৃহীত।
হাড়ের খেয়াল রাখা সহজ নয়। অত্যধিক পরিশ্রম, অনিয়ম, স্বাস্থ্যকর খাবার না খাওয়া, শরীরচর্চার অভাব কম বয়সেই হা়ড়ের নানা অসুখ ডেকে আনে। সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য হাড় মজবুত এবং শক্তিশালী হওয়া জরুরি। ব্যস্ততম জীবনে ছুটে বেড়ানোই কাজ। সব সময়ে চাঙ্গা থাকতে হয়। নিজেকে চনমনে রাখতে শুধু ওজন কমালেই হবে না, যত্ন নিতে হবে হাড় এবং পেশিরও। হাড়ের যত্নআত্তিতে খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্বাস্থ্যগুণ উপাদান সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া জরুরি। তবে অনেকেরই মনে হয়, মাছ, মাংস, ডিম হল একমাত্র স্বাস্থ্যকর খাবার। যত পুষ্টিগুণ সব আমিষ খাবারেই রয়েছে। তা কিন্তু নয়। নিরামিষ খাবারেও স্বাস্থ্যগুণের শেষ নেই। হাড়ের যত্ন নিতে পারে, রইল এমন কয়েকটি নিরামিষ খাবারের খোঁজ।
হাড়ের খেয়াল রাখতে প্রতিদিন টক দই খান। ছবি: সংগৃহীত।
সবুজ শাকসব্জি
পালং, পুঁই, সর্ষের মতো বেশ কিছু শাক বাঙালি হেঁশেলে রান্না হয়েই থাকে। এই গোত্রের শাকপাতা হাড়ের জন্য বেশ ভাল। এগুলিতে ভরপুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম রয়েছে, যা হাড় শক্তিশালী করে।
টক দই
ক্যালশিয়ামের গুণে ভাল থাকে হাড়। টক দইয়ে রয়েছে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফেরাস, ভিটামিন বি১২-এর মতো স্বাস্থ্যকর উপাদান। হাড় শক্তিশালী করতে নিয়ম করে টক দই খাওয়া জরুরি।
সাইট্রাসজাতীয় ফল
আঙুর, কমলালেবু, আনারসের মতো সাইট্রাস জাতীয় ফল হাড়ের যত্ন নেয়। এই ফলে ক্যালশিয়াম ছাড়াও ভিটামিন সি, ফাইবারের মতো উপাদান রয়েছে। যা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। হাড় ও পেশি শক্তিশালী রাখতে টকজাতীয় ফল খুবই উপকারী।
কাঠবাদাম
প্রোটিনের উৎস হল কাঠবাদাম। হাড় ভাল রাখতে শুধু ক্যালশিয়াম নয়, প্রোটিনও অপরিহার্য। তবে কাঠবাদামে প্রোটিন ছাড়াও রয়েছে ক্যালশিয়াম এবং পটাশিয়াম। এই উপাদানগুলি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে হাড়ক্ষয়ের ঝুঁকি কমে।
ড্রাই ফ্রুটস
আখরোট, কাজু, কিশমিশ, কাঠবাদাম নিয়ম করে খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয়, শরীর চাঙ্গা থাকে তো বটেই, সেই সঙ্গে হাড়ও মজবুত হয়। হাড় ভাল রাখতে ড্রাই ফ্রুটস নিয়ম করে খেতে পারেন। ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে এতে। রোজ খেলে অবশ্যই সুফল পাবেন।