গাঁটের ব্যথাকে অবহেলা না করে শুরু থেকেই সতর্ক হওয়া ভীষণ জরুরি। ছবি: সংগৃহীত
সাধারণত বয়স্করা গাঁটের ব্যথার সমস্যায় বেশি ভোগেন। তবে যে কোনও বয়সেই এ সমস্যা হতে পারে। রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লেই গাঁটের ব্যথা অনিবার্য। গাঁটের ব্যথার কারণে হাঁটা-চলার স্বাভাবিক গতি কমে আসে। কর্মদক্ষতাও কমে যায়। এই ব্যথাকে অবহেলা না করে শুরু থেকেই সতর্ক হওয়া ভীষণ জরুরি। মুঠো মুঠো ওষুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ার আগে জেনে নিন কী ভাবে আয়ুর্বেদিক উপায় এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
১) অত্যধিক মাত্রায় টক জাতীয় খাবাব এড়িয়ে চলুন। খাবারে নুনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ভাজাভুজি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দুরত্ব বানিয়ে চলুন।
২) খাবারে দেশি ঘি ব্যবহার করুন। অলিভ অয়েলেও রান্না করতে পারেন, এতে উপকার পাবেন। সাদা তিল গাঁটের ব্যথা দূর করতে দারুণ উপকারী। রান্নায় তিল বেটে ব্যবহার করতে পারেন। স্বাদও বাড়বে আর ব্যথাও কমবে। এ ছাড়া স্যালাডেও তিল ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রতীকী ছবি
৩) অলিভ অয়েলের সঙ্গে সৈন্ধব নুন মিশিয়ে ব্যথার জায়গায় মালিশ করতে পারেন। অলিভ অয়েল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর। নুনে প্রচুর মাত্রায় ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, কপার ও জিঙ্ক থাকে। এই দুই উপাদান সহজেই ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও সর্ষের তেল এবং ক্যাস্টর অয়েল ব্যথা কমাতে দারুণ উপকারী।
৪) ঈষদুষ্ণ জলে নুন মিশিয়ে তার মধ্যে ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাঁটু ডুবিয়ে রাখুন। হট ওয়াটার ব্যাগও ব্যবহার করতে পারেন। ব্যথা কমাতে দিনে দুই থেকে তিন বার এই টোটকা মেনে চলুন।
৫) দু’কাপ দুধের সঙ্গে এক চামচ বাদাম, আখরোটের গুঁড়ো ও সামান্য মাত্রায় হলুদের গুঁড়ো ভাল ভাবে মিশিয়ে বেশ কিছু ক্ষণ ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণের পরিমাণ অর্ধেক হয়ে গেলে ঠান্ডা করে খেয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই দুধ খাদ্যতালিকায় রাখলে ব্যথায় আরাম পাবেন। আদা খেলে হাঁটুর ব্যথা অনেকটা কমে। এ ক্ষেত্রে আদা দেওয়া চা খেলেও উপকার পাবেন।