CPIM Protest a Jalpaiguri Medical

ওষুধ কিনতে হচ্ছে ‘বাইরে’ থেকে, বিক্ষোভ মেডিক্যালে

একই সঙ্গে স্যালাইন-কাণ্ডে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার দাবি তুলেছেন তাঁরা। মেডিক্যালে চিকিৎসা পরিষেবার মান উন্নয়নের দাবিও জানিয়েছেন।

Advertisement

অর্জুন ভট্টাচার্য  

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৫০
Share:

জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ। —ছবি : সংগৃহীত

জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে চিকিৎসাধীনদের পরিজনদের বাইরে থেকে স্যালাইন, ইঞ্জেকশন এবং ওষুধ কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। কেন রোগীদের জন্য বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলে বুধবার দুপুরে মেডিক্যালে বিক্ষোভ দেখালেন সিপিএমের নেতা-কর্মীরা। একই সঙ্গে স্যালাইন-কাণ্ডে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার দাবি তুলেছেন তাঁরা। মেডিক্যালে চিকিৎসা পরিষেবার মান উন্নয়নের দাবিও জানিয়েছেন।

Advertisement

সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজ্য সরকারের নির্দেশে হাসপাতালে সরবরাহকারী একটি বেসরকারি সংস্থার স্যালাইন ও ইঞ্জেকশনের ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর থেকে চিকিৎসাধীন রোগীদের ভোগান্তি বেড়েছে। যদিও মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের দাবি, সাময়িক সমস্যা দেখা দিলেও যত সম্ভব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালানো হয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ, মেডিক্যালের কর্তব্যরত একমাত্র রেডিয়োলজিস্ট শীঘ্রই অবসর নেবেন। রেডিয়োলজিস্টের অভাবে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আলট্রাসোনোগ্রাফি পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র জেলা সদর হাসপাতালে আলট্রাসোনোগ্রাফি পরিষেবা চালু রয়েছে। সে ক্ষেত্রেও রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতি দিনই। একই সঙ্গে মেডিক্যালের শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ না হওয়ায় যথাযথ পরিষেবা মিলছে না বলেও অভিযোগ।

সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘স্যালাইন-কাণ্ডে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে মেডিক্যালে চিকিৎসাধীনদের জন্য বাইরে থেকে যাতে স্যালাইন, ইঞ্জেকশন এবং ওষুধ কিনতে না হয়, তা নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। শূন্যপদ পূরণ-সহ সার্বিক স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়নে জোর দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে।’’

Advertisement

মেডিক্যাল কলেজের সুপার তথা ভাইস প্রিন্সিপাল কল্যাণ খান বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশিকা মেনে যতটা সম্ভব হাসপাতাল থেকেই ওষুধ, ইঞ্জেকশন এবং স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে। চিকিৎসাধীনদের প্রয়োজনে অনেক সময় কয়েকটি ওষুধ বা ইঞ্জেকশন হাসপাতালের সুলভ মূল্যের ওষুধের দোকান থেকে রোগীদের বাড়ির লোকেরা সংগ্রহ করছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement