পেয়ারায় ভিটামিন সি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কী খাবেন আর কী খাবেন না, তা নিয়ে বিশেষ সচেতন থাকুন। এই অবস্থায় প্রায়ই মুখোরোচক খাবার খেতে ইচ্ছা করে! তবে বাইরের খাবার এই সময় না খাওয়াই ভাল। তবে উপায়? এই সময় খাদ্যতালিকায় ফল রাখার পরামর্শ দেন চিকিত্সকরা। তবে বেশ কিছু ফল আবার শরীরের ক্ষতি করে দিতে পারে। পেয়ারা এমন একটি ফল যা স্বাস্থ্যোপযোগী এবং অনেকেই এটি খেতে ভালোবাসেন। খিদে পেলে পেয়ারা খেতেই পারেন। মুখের স্বাদও বদলাবে আর পুষ্টিও পাবেন ভরপুর। এই সময় পাকা পেয়ারা খাওয়া বেশি স্বাস্থ্যকর।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
পেয়ারায় ভিটামিন সি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পেয়ারা ভিটামিন সি, ই, ক্যারোটিনয়েডস, আইসোফ্ল্যাভোনয়েডস ও পলিফেনলসের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ। যা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেকের রক্তচাপ বেড়ে যায়। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ পেয়ারা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। গর্ভপাত এবং সময়ের আগে প্রসবের ঝুঁকি কমায়।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বিশেষত ২৪ সপ্তাহের পর অনেক মহিলাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। পেয়ারা জটিল কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবারে ভরপুর যা শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়
এই সময় কোষ্ঠকাঠিন্য এক বড় সমস্যা। ফাইবারে সমৃদ্ধ পেয়ারা এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে। বিশেষ করে পাকা পেয়ারা খেলে আরও ভাল ফল পাওয়া যায়।
প্রতীকী ছবি
হজমশক্তি বাড়ায়
পেয়ারা খেলে হজমশক্তি ভাল হয়। এর ফলে বুকে জ্বালা, গা গোলানো-সহ একাধিক সমস্যা দূর হয়। হবু মায়েদের অ্যালকালাইন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পেয়ারা অ্যালকালাইন প্রকৃতির হওয়ায় এটি অ্যাসিডিটির সমস্যা ও অম্বল দূর করে।
দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে
ভিটামিন এ-তে সমৃদ্ধ থাকায় এটি অন্ধত্ব প্রতিরোধে সাহায্য করে। পাশাপাশি ভ্রুণের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে।
ভ্রুণের মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক
পেয়ারায় ফলিক অ্যাসিড ও ভিটামিন বি৯ থাকে, যা শিশুর মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে সহায়ক।
অবসাদ কমায়
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কর্টিসোলের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। যা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম থাকে যা স্নায়ু ও পেশিকে স্বস্তি দিতে সাহায্য করে। যার ফলে অবসাদ মুক্ত থাকা যায় এবং মাথা ঠান্ডা হয়।