নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। —ফাইল চিত্র।
এ দেশে স্থাপিত সুভাষচন্দ্র বসুর প্রথম মর্মর মূর্তি রয়েছে শহরে। সেই মূর্তি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর। শহরের ‘নেতাজি সুভাষ ফাউন্ডেশন’ ভবনে রয়েছে মূর্তিটি। পাশাপাশি, আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনাদের চিতাভস্ম রাখার জায়গা সবার নজরে আনার প্রক্রিয়াও শুরু হতে চলেছে। নেতাজির জন্মদিবসের আগে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহের এই ঘোষণায় খুশি শহরবাসী।
ইতিহাস বলে, ১৯২৮ সালে প্রথম এই শহরে এসেছিলেন সুভাষচন্দ্র। দ্বিতীয় বার ১৯৩৯ সালে। সে বার দেশ থেকে ইংরেজদের হটানোর ডাক দিয়েছিলেন তিনি। স্বাধীনতার পরে, ১৯৫১ সালে নেতাজির ৫৪-তম জন্মদিবসে শহরের করলা নদীর তীরে প্রথম সুভাষচন্দ্র মর্মর মূর্তি স্থাপন করা হয়। ওই মূর্তির পাশেই রাখা ছিল আজাদ হিন্দ ফৌজের শহিদ সেনাদের অস্থি ও চিতাভস্ম।
সুভাষচন্দ্রের ‘অনুগামী’, স্বাধীনতা সংগ্রামী সতীশচন্দ্র লাহিড়ী সেই সময় শহরে তাঁর মূর্তি স্থাপনের বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। সে সময়ে এই মূর্তির উদ্বোধন করেন বিচারপতি রাধাবিনোদ পাল। সামরিক পোশাকে সজ্জিত সুভাষচন্দ্রের মূর্তি কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে নেতাজি সুভাষ সংগ্রহশালা।
নেতাজি সুভাষ ফাউন্ডেশনের সম্পাদক তথা প্রাক্তন বিধায়ক গোবিন্দ রায় বলেন, ‘‘আমি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে আবেদন জানিয়েছিলাম। ওরা সাড়া দেওয়ায় ভাল লাগছে। নেতাজির মর্মর মূর্তির রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনাদের চিতাভস্ম ও অস্থি রাখার জায়গা যাতে সবাই দেখতে পান তারও ব্যবস্থা করা হবে।’’ উদয়ন বলেন, ‘‘জলপাইগুড়িতে থাকা নেতাজির প্রথম মূর্তিটিকে সংরক্ষণ করা হবে। আরও কিছু কাজ করা হবে। টেন্ডারও হয়েছে। নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানাতেই এই উদ্যোগ।’’