শুধু কামড় বসালেই নয়, ঠান্ডা লাগলেও মুখে ঘা হয়। ছবি: সংগৃহীত।
কথা বলতে বলতে অসাবধানে মুখের ভিতর কামড় বসিয়ে ফেলেছিলেন নিজেই। সামান্য রক্তপাত হলেও প্রথমে তেমন ব্যথা হয়নি। কিন্তু পরের দিন খেয়াল করলেন, ওই জায়গায় ঘা হয়ে গিয়েছে। তবে শুধু কামড় বসালেই নয়, অনেকেই জানেন যে, এই ধরনের ঘা সাধারণত ঠান্ডা লাগলে বা শ্লেষ্মার আধিক্য হলেও হয়। ঈষদুষ্ণ জলে কুলকুচি করা, মধু কিংবা মাখনের মতো ঘরোয়া টোটকায় এই সমস্যা নিরাময় হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলি খেলে মুখের ঘা বেড়ে যেতে পারে।
১) অ্যাসিডযুক্ত ফল
মুখে ঘা হলে কিছু খেতে গেলেই জ্বালা করে। কিন্তু অ্যাসিডযুক্ত ফল খেলে তা আরও বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করতে পারে। মুখগবহ্বরের ভিতরের ত্বক এমনিতেই খুব স্পর্শকাতর হয়। তার উপর অ্যাসিড গিয়ে পড়লে তার স্পর্শকাতরতা আরও বেড়ে যায়। লেবু, আনারস, স্ট্রবেরির মতো ফলের মধ্যে অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি। তাই মুখে ঘা থাকলে, তা আরও বেড়ে যেতে পারে।
২) বাদাম
বাদামের মধ্যে রয়েছে বিশেষ এক প্রকার অ্যামিনো অ্যাসিড। যা মুখের ঘা শুকোনোর বদলে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। বেশির ভাগ বাদামের মধ্যেই আবার নুন থাকে। এই নুনও কিন্তু মুখের ক্ষত আরও দগদগে করে দিতে পারে।
৩) চকোলেট
চকোলেট খাওয়ার অভ্যাস থাকলে কিন্তু মুখের ঘা সারবে না। কারণ, চকোলেটের মধ্যে রয়েছে ব্রোমাইড নামক একটি উপাদান। যা মুখের ভিতরের স্পর্শকাতরতা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
৪) ঝাল খাবার
অতিরিক্ত ঝাল খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা এখনই বাদ দিতে হবে। কারণ, এই ঝাল কিন্তু এই ধরনের ঘায়ের জন্য ক্ষতিকর। ঝাল খাবার খাওয়া বন্ধ করতে না পারলে সামান্য মুখের ঘা কিন্তু ক্যানসারের দিকে গড়াতে পারে।
৫) প্রক্রিয়াজাত খাবার
প্রক্রিয়াজাত খাবারের মধ্যে নুন এবং চিনির পরিমাণ বেশি। সঙ্গে বেশ কিছু রাসায়নিকও থাকে। যা মুখের ঘায়ের জন্য ক্ষতিকর।