চোখের ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণই এই ধরনের সমস্যার মূল কারণ। ছবি: সংগৃহীত।
চোখের পাতার উপর কিছুতেই আইলাইনার পরতে পারছেন না। আঞ্জনি, কনজাংটিভাইটিস কিছুই হয়নি। কিন্তু উঁচু ফোঁড়ার মতো কী যেন একটা হয়েছে। কিছু তেই কমছে না। চশমা পরলে তা-ও ঠিক আছে। কিন্তু চশমা খুললে খুব বাজে দেখতে লাগছে। তার চেয়ে বেশি সমস্যার হল চোখের পলক ফেলতে গিয়ে ব্যথা টনটন করছে। প্রথম কয়েক দিন চোখ লাল হয়ে অস্বস্তি হচ্ছিল। সেই সমস্যা নিরাময় হলেও চোখের পাতার উপরের ফোলা ভাব কিছুতেই কমছে না। তা হলে কী এই ফোঁড়া আসলে আঞ্জনি না কি ব্রণ?
চিকিৎসকেরা বলছেন, চোখের উপরের বা নীচের পাতায় তৈলগ্রন্থি থাকে। সেই গ্রন্থির মধ্যে ব্যাক্টেরিয়া প্রবেশ করল এক ধরনের ফুসকুড়ি হয়। চিকিৎসা পরিভাষায় যার নাম স্টাই। আবার, চোখের পাতায় থাকা তৈলগ্রন্থি এবং অশ্রুগ্রন্থির মুখ কোনও কারে বন্ধ হয়ে গেলেও ফুসকুড়ির মতো উপসর্গ দেখা যায়। তবে স্টাই-এর চেয়ে তা আকারে খানিকটা বড় হয়। পোশাকি নাম কোলেজ়িয়ান। কিন্তু চোখের পাতার কোণে বা নীচে এক ধরনের অতিরিক্ত চামড়া দেখা যায়। দেখতে কিন্তু একেবারেই ফুসকুড়ির মতো নয়। অনেকটা হলুদ রঙের এই অংশটি আসলে এক প্রকার ফ্যাট। চিকিৎসা পরিভাষায় যার নাম জ়ানথেলাজ়মা। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়লে অনেকের চোখেই এই লক্ষণ ফুটে ওঠে।
কী করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন?
সাধারণত চোখে কাপড় দিয়ে শুকনো গরম সেঁক দিলেই এই ধরনের ফুসকুড়ি কমে যাওয়ার কথা। চোখের ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ এবং প্রদাহ কমলেই এই সমস্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে। তা ছাড়া চোখের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতে হবে। কিন্তু ব্রণ ভেবে খোঁচা দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।