নিয়মিত টক দই খাওয়া কি ভাল? ছবি: সংগৃহীত।
রক্তে শর্করা বেশি থাকলে খাবার নিয়ে হাজার রকম বিধিনিষেধ মানতে হয়। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হয়। মিষ্টিজাতীয় খাবার একেবারেই বাদ দিতে বলা হয়। তবে, একেবারে মিষ্টি খাওয়া বন্ধ করলেও যে খুব একটা লাভ হবে তা নয়। সাধারণ চিনির বদলে কৃত্রিম চিনি খেলে শরীরের অন্যান্য সমস্যা হতে পারে, তাই খাবারে তো বটেই, চায়েও গুড় মিশিয়ে খান অনেকে। বিপাকহার ভাল রাখতে নিয়মিত টক দই খাওয়ার অভ্যাসও রয়েছে অনেকের। কিন্তু তাতে ডায়াবটিক রোগীদের কি আদৌ কোনও উপকার হয়? সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি তথ্য প্রকাশ করেছেন এক আয়ুর্বেদ চিকিৎসক এবং নেটপ্রভাবী। তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিস থাকলে যে ধরনের সমস্যা হতে পারে, তা এড়িয়ে চলতে গেলে তিনটি খাবার একেবারে বাদ দিতে হবে।
কোন তিনটি খাবার বাদ দিলে ডায়াবেটিকদের বিপদের ঝুঁকি কম?
১) টক দই
আয়ুর্বেদ বলছে, শরীরে কফ দোষ বাড়িয়ে তুলতে পারে টক দই। যা পরোক্ষ ভাবে বিপাকহার কমিয়ে দেয় এবং দেহের ওজন বাড়িয়ে তোলে। অনেকেই মনে করেন, দই খেলে শরীর ঠান্ডা হয়। তবে, এই ধারণা আয়ুর্বেদে ভ্রান্ত। বরং দই হজম করা অনেকের পক্ষেই নাকি বেশি সমস্যার হয়ে যায়। তাই যাঁদের রক্তে শর্করা, খারাপ কোলেস্টেরল কিংবা ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেশির দিকে, তাঁদের নিয়মিত দই না খাওয়াই ভাল। তবে দই যদি ঘোল বানিয়ে খেতে পারেন, তা হলে কোনও সমস্যা নেই। কারণ, তাতে দইয়ের সঙ্গে জল মেশানো থাকে।
২) সাদা নুন
রক্তে শর্করা বাড়িয়ে তুলতে নুনের সরাসরি কোনও ভূমিকা নেই। তবে বেশি নুন খেলে রক্তের চাপ বেড়ে যায়। ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা সাংঘাতিক আকার ধারণ করতে পারে। যা পরবর্তী কালে হার্ট এবং কিডনি বিকল করে দিতে পারে। তাই আয়ুর্বেদে সৈন্ধব নুন খাওয়ার উপরেই জোর দেওয়া হয়। রক্তের চাপ স্বাভাবিক রাখতে পারলে অনেক সমস্যারই সমাধান হয়ে যায়।
৩) গুড়
চিনির বদলে রান্নায় গুড় দেওয়ার রেওয়াজ বহু পুরনো। অনেকেই মনে করেন, চিনির তুলনায় গু়ড়ের পুষ্টিগুণ বেশি। তা সত্ত্বেও গুড় রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে। কারণ, চিনি খান বা গুড়— পরিমাণে লাগাম রাখতে না পারলে কিন্তু কোনও লাভই হবে না। চিনির থেকে গুড়ের পুষ্টিগুণ বেশি হওয়া সত্ত্বেও শর্করার মাত্রায় কোনও হেরফেরই চোখে পড়ে না।
(এই প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশে লেখা। গুরুতর সমস্যা থাকলে অবশ্য়ই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।)