আঙুর খেলেই কি ওজন বাড়বে? একদিনে কতটা খাবেন? ছবি:ফ্রিপিক।
সবুজ, কালো, গোলাপি রকমারি আঙুর দেখলে খেতে ইচ্ছা করলেও, যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন তাঁদের অনেকেই ফলটি এড়িয়ে চলেন। অথচ এই ফলের পুষ্টিগুণ নেহাত কম নয়। ১০০ গ্রাম আঙুরে ৭৩ কিলোক্যালোরি রয়েছে। এ ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম। এতে ভিটামিন সি বয়েছে প্রচুর পরিমাণে, সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও আছে। বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে ভিটামিন সি, এতে থাকা নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট।
তবে ওজন কমানোর জন্য ফলের তালিকায় যতটা চট করে আপেল, শসা বা তরমুজ বেছে নেওয়া হয়, ততটা সহজে আঙুর রাখা হয় না। কিন্তু সত্যি কি ওজন বশে রাখাতে গেলে বা মেদ ঝরাতে গেলে আঙুর বাদ দেওয়া দরকার? না কি খেতে হবে মাপ বুঝে?
ফাইবার: ক্যালোরির পরিমাণ মাঝামাঝি হলেও আঙুরে মেলে সহজপাচ্য ফাইবার। ওজন নিয়ন্ত্রণে, হজম ভাল করতে এবং শারীরবৃত্তীয় নানা কাজেই ফাইবারের বিশেষ ভূমিকা থাকে।
জল: আঙুরে থাকে জলও। শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির পাশাপাশি জলের চাহিদা সামান্য হলেও পূরণ করতে পারে আঙুর। ফাইবার, জল থাকায় ফলটি খেলে পেট বেশ কিছু ক্ষণ ভরা থাকে।
বিপাকে প্রভাব ফেলে: আঙুরে মেলে রেসভেরাট্রল, পলিফেনলের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা শুধু শরীর ভাল রাখে না, হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে, বিপাক হার বাড়াতেও সাহায্য করে। ওজন বশে রাখাতে হলে বিপাক হার ভাল হওয়া দরকার।
যদিও পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘আঙুর খাওয়ার সঙ্গে সরাসরি ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাসের তেমন সম্পর্ক নেই। তবে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর আঙুর শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাতে সহায়ক। এতে থাকা ভিটামিন সি যেমন রোগ প্রতিরোধে সহায়ক, তেমনই শরীর সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট।’’
কতটা খাবেন?
ওজন বশে রাখতে হলে আঙুর বাদ দিতে হবে, এমন নয়। বরং সপ্তাহে দু’তিন দিন ৫০ গ্রাম আঙুর খাওয়া যায়। সবুজের চেয়ে কালো আঙুরে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আরও বেশি। পুষ্টিবিদের কথায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার খেতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক দিনে ৫০-১০০ গ্রাম আঙুর খেতে পারেন। কিন্তু ক্যালোরির হিসেব-নিকেশ বুঝে নেওয়া জরুরি।
স্বাস্থ্যকর ‘স্ন্যাক্স’ আঙুর!
দিনে বিভিন্ন সময় মিষ্টি খেতে ইচ্ছ হয় অনেকেরই। স্বাস্থ্য সচেতন হলে স্ন্যাক হিসেবে মিষ্টির বদলে মাঝেমধ্যে আঙুরও রাখতে পারেন।
১. সকাল এবং সন্ধ্যায় কয়েকটি আঙুর রাখতে পারেন তালিকায়।
২. আঙুর ফ্রিজে ঠান্ডা করে কাঠিতে গিঁথেও প্লেটে সাজিয়ে খেতে পারেন। খাবার সুন্দর ভাবে সাজিয়ে রাখলে তা খাওয়ার ইচ্ছা বেড়ে যায়। এ ভাবে কৌশলে অস্বাস্থ্যকর চিনি যুক্ত খাবার এড়ানো যেতে পারে।
৩. আঙুর, বেরি জাতীয় ফল, ঠান্ডা দুধ দিয়ে মিক্সারে ঘুরিয়ে স্মুদিও বানিয়ে নিতে পারেন।