জেলে অসুস্থবোধ করায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। —ফাইল ছবি।
জেলের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ভুগছেন শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায়। প্রেসিডেন্সি জেলে অসুস্থবোধ করায় চিকিৎসার জন্য তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানেই ভর্তি করানো হয়েছে বলেই খবর। এই প্রথম নয়, এর আগেও প্রেসিডেন্সি জেলে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ। তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তিও করানো হয়েছে কিছু সময়ের জন্য।
বিবিধ শারীরিক অসুবিধা রয়েছে পার্থের। আদালতে আইনজীবী মারফত একাধিক বার শারীরিক সমস্যার কথা জানিয়েছেন তিনি। পার্থের শরীর স্থূল। সেই সংক্রান্ত কিছু সমস্যাও তাঁর রয়েছে। তবে জেলবন্দি হওয়ার পর থেকেই পায়ের সমস্যাতেও ভুগছেন পার্থ। জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার হঠাৎই জেলের মধ্যে অসুস্থবোধ করেন তিনি। জেলের চিকিৎসকেরা তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। সিদ্ধান্ত নেন এসএসকেএমে পাঠানোর। তার পরই প্রেসিডেন্সি থেকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই শারীরিক পরীক্ষা করানো হবে।
আদালতে বার বার নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন পার্থ। এমনকি জামিনের আবেদনের সময়ও তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা জানানো হয়। তাঁর ‘রুটিন চেকআপ’ও করা হয় প্রতি মাসে। জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেই ‘প্যানিক অ্যাটাক’ হয়েছিল পার্থের। জেলের মধ্যেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। বিষয়টি তৎক্ষণাৎ এসএসকেএমে জানানো হয়।
প্রায় আড়াই বছর আগে, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ২০২২ সালের ২২ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় পার্থের বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। সে সময়ও তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে শোনা গিয়েছিল। ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যেই পার্থের বাড়িতে এসএসকেএমের চিকিৎসকদের যেতে দেখা গিয়েছিল। এর পর গ্রেফতারির পর পার্থকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখান থেকে আদালতের নির্দেশে ভুবনেশ্বর এমসে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পার্থকে।
নিয়োগ মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ। তার পর থেকে জেলেই রয়েছেন তিনি। গত ১৩ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট শর্তসাপেক্ষে পার্থের জামিন দেওয়ার সময় জানায়, চার্জ গঠন এবং গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের বয়ান সংগ্রহ হয়ে গেলে ১ ফেব্রুয়ারির আগেই জামিন পেতে পারেন তিনি। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মতো দ্রুত চার্জগঠন প্রক্রিয়ার দিকে এগোয় বিচার ভবন। আদালতের শীতের ছুটির সময়েও পার্থদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের জন্য বিচার ভবনে বিশেষ আদালত বসে। এ বার চার্জগঠন প্রক্রিয়া শেষ করে সাক্ষীদের বয়ান সংগ্রহ চলছে পার্থদের বিরুদ্ধে।