ছবি: সংগৃহীত।
শরীর থেকে টক্সিন দূর করাই লক্ষ্য!
অতএব রিল দেখে বাড়িতেই ‘গ্রিন জুস’ বানিয়ে রোজ সেই পানীয়ে চুমুক দিচ্ছেন। শাকপাতা, টাটকা সব্জি, সবুজরঙা ফল দিয়ে তৈরি এই পানীয় যে নানা ধরনের ভিটামিন, খনিজে ভরপুর, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তা সত্ত্বেও এই পানীয়টি রোজ খাওয়া ভাল নয়। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে জানিয়েছেন নেটপ্রভাবী, পুষ্টিবিদ শালিনী সুধাকর।
শালিনী বলেন, “পানীয়টি কী ভাবে তৈরি করা হচ্ছে, তার উপরে নির্ভর করে তার পুষ্টিগুণ। কেউ যদি এই রস তৈরি করার সময়ে একেবারে কাঁচা শাকপাতা ব্যবহার করেন, তা হলে শরীরে তার ফল উল্টো হতে পারে। কারণ, টাটকা শাকপাতায় প্রয়োজনীয় খনিজের পাশাপাশি অক্সালেটের মতো ‘অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্টস’ বা পুষ্টি শোষণে বিরোধী অনেক খনিজ থাকে। যেগুলি লিভার এবং অন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর।”
অনেকেই মনে করেন, শাকপাতা রান্না করলে তার পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। সে যুক্তি একেবারে ভ্রান্ত নয়। তবে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা এবং যথাযথ উপকরণ দিয়ে রাঁধলে বরং শাকের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায়। তবে রস করার সময়ে শাকপাতা পুরোপুরি সেদ্ধ না করে নুন জলে হালকা ভাপিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
ভাল হলেও সপ্তাহে রোজ এই পানীয় খাওয়া যায় না। শালিনীর মতে, সপ্তাহে তিন দিন গ্রিন জুস খাওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে পুষ্টি শোষণে যেমন সুবিধা হবে, তেমন ক্ষতিকর খনিজগুলিও শরীরে জমতে পারবে না।