নখের যত্ন নেবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
উদয়াস্ত পরিশ্রম করে বাড়ি ফিরে কোনও মতে মুখের যত্নটুকুই নিতে পারেন। অন্য দিকে তাকানোর মতো সময় বা ইচ্ছে কোনওটাই থাকে না। কিন্তু হঠাৎ যখন নিজের আঙুলের দিকে চোখ পড়ে তখন কি আর অর্ধেক ভাঙা, হলদেটে ছোপ ধরা নখ দেখতে ভাল লাগে? তার পর যদি হঠাৎ একটা নিমন্ত্রণ এসে পড়ে তা হলে আর রক্ষে নেই। সঙ্গে সঙ্গে সেই ভাঙা নখ মেরামত করতে সালোঁয় ছুটতে হবে। নখরঞ্জনীর মতো যত প্রসাধনীই থাকুক না কেন, নিজের নখ যদি সুন্দর হয়, তার চেয়ে ভাল আর কিছু হয় না। নখের স্বাস্থ্য ভাল করার ঘরোয়া টোটকা জানা আছে?
১) লেবুর রস:
যাঁরা বেশি নেলপালিশ ব্যবহার করেন, তাঁদের জন্য লেবুর রস অতি গুরুত্বপূর্ণ। নখের কোণ হলদেটে হয়ে গেলে কিছুটা সময় হাতে রাখতে হবে শুধু পরিচর্যার জন্য। কাজটা যদিও কঠিন নয়। একটা পাতিলেবু কেটে ফেলতে হবে। অর্ধেকটা লেবু ভাল ভাবে ঘষতে হবে প্রতিটি নখের উপরে। টানা এক সপ্তাহ এ ভাবে চললে গায়েব হবে সেই হলুদ ভাব।
২) নারকেল তেল:
ত্বক তেলতেলে হোক বা শুষ্ক, নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন সকলেই। নখের উপরে এবং চারপাশে ভাল ভাবে দিয়ে দিন তেল। তার পরে আলাদা আলাদা করে প্রতিটি আঙুলে কিছু ক্ষণ মাসাজ করুন। বার বার মাসাজে তেল মিলিয়ে যাবে ত্বক ও নখের সঙ্গে। হাতের তেলতেলে ভাব কেটে যাবে।
৩) অ্যাপল সাইডার ভিনিগার:
ভঙ্গুর নখ শক্ত করতে পারে অ্যাপল সাইডার ভিনিগারও। তবে এটি সরাসরি লাগাবেন না। একটি ছড়ানো পাত্রে জলের সঙ্গে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে তাতে মিনিট দশেক নখ ডুবিয়ে রাখুন। অ্যাপল সাইডার ভিনিগারে থাকা পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম নখের ভিতরের সংক্রমণ কমায় ও নখকে শক্তিশালী করে।
৪) সৈন্ধব লবণ:
বাজার থেকে সৈন্ধব লবণ কিনে আনুন। এই লবণে খুব তাড়াতাড়িই নখ মজবুত হয়। এক বাটি জলে খানিকটা সৈন্ধব লবণ ও ২-৩ ফোঁটা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে কিছু ক্ষণ নখ ডুবিয়ে রাখুন।
৫) ভিটামিন ই অয়েল:
নখ মজবুত করতে পারে ভিটামিন ই অয়েলও। দোকান থেকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল কিনে এনে সেটি কেটে নিন। ভিতরের তরল পদার্থটি নখে মাখিয়ে রাখুন। নখ শক্ত হবে।