Swimming Pool Hacks

ক্লোরিনের ভয়ে সুইমিং পুলে নামতে পারছেন না, কোন কোন নিদান মেনে চললে ত্বকের ক্ষতি হবে না?

ক্লোরিন আসলে এক ধরনের রাসায়নিক। এই রাসায়নিকটি জলের সংস্পর্শে এলে তা হাইপোক্লোরাস অ্যাসিডে পরিণত হয়। যার সংস্পর্শে এলে ত্বকে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৪ ১৭:৫৫
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

গরমে আরাম পেতে ঘন ঘন স্নান করেন। সাঁতার কাটতে ভালবাসেন। কিন্তু ত্বকের ক্ষতি হওয়ার ভয়ে সুইমিং পুলে নামতে পারেন না। সুইমিং পুলের জল জীবাণুমুক্ত করতে প্রতি সপ্তাহেই ক্লোরিন দেওয়া হয়। তা দিতেও বারণ করা যায় না। কারণ, জলবাহিত রোগের প্রকোপ আটকাতে এই পদ্ধতি সহজ এবং খুব একটা ব্যয়বহুল নয়। কিন্তু, তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর কেন? ক্লোরিন আসলে এক ধরনের রাসায়নিক। এই রাসায়নিকটি জলের সংস্পর্শে এলে তা হাইপোক্লোরাস অ্যাসিডে পরিণত হয়। তবে, মাঝেমধ্যে ক্লোরিন যুক্ত জলে স্নান করলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

Advertisement

ক্লোরিন শরীরের কী ক্ষতি করে?

ত্বক অত্যন্ত স্পর্শকাতর। ক্লোরিন বা ক্লোরিনের মতো যে কোনও ধরনের রাসায়নিকই ত্বকের সংস্পর্শে এলে অস্বস্তি হওয়া স্বাভাবিক। এমনকি ত্বক অতিরিক্ত শুষ্কও হয়ে পড়তে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে ‘জ়েরোসিস’ বলা হয়। চোখ, নাক, মুখের ত্বক দেহের অন্যান্য অংশের তুলনায় পাতলা। তাই ক্লোরিন মেশানো জল লাগলে ত্বকে জ্বালার অনুভূতি হয়। এ ছাড়া ক্লোরিন মেশানো জল নাক, চোখের ভিতরে ঢুকে গেলেও সমস্যা হতে পারে। এ তো গেল ত্বকের সমস্যা। চিকিৎসকেরা বলছেন, ক্লোরিন মেশানো জলে নিয়মিত স্নান করলে অ্যালার্জি-জনিত সর্দিকাশি কিংবা শ্বাসযন্ত্রের গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।

Advertisement

ত্বকের ক্ষতি আটকাতে সাঁতার কাটতে নামার আগে কী কী করবেন?

১) পুলে নামার আগে অবশ্যই স্নান করে নিন।

২) মিনিট পনেরো আগে সারা গায়ে সানস্ক্রিন বা ভিটামিন সি-যুক্ত লোশন মেখে রাখতে পারলে ভাল হয়।

৩) কোনও রকম প্রসাধনী মেখে জলে নামার ক্ষেত্রে নানা রকম বিধিনিষেধ থাকে। সে ক্ষেত্রে নারকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement