ফাইল চিত্র।
দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভোগার পরে বুধবার চলে গেলেন অভিনেতা দিলীপ কুমার। কিন্তু মৃত্যুর পরেও রয়ে গেছে সেই প্রশ্ন, মহম্মদ ইউসুফ খান কেন হিন্দু নাম নিয়ে দিলীপ কুমার হয়েছিলেন?
দু’টি কারণ শোনা যায় এই নাম ও পদবি বদলের পিছনে। একটি ভয়, একটি প্রেম। তবে আরও একটি কারণ ছিল বলে মনে করা হয়। যেটি অবশ্য দিলীপ কুমার কখনও নিজের মুখে স্বীকার করেননি। যদিও তৃতীয় কারণটিকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন সময়ের আলোচনায়। বলা হয়, হিন্দু দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হওয়ার জন্যই এই নামবদল।
বাস্তবের ইউসুফকে বলিউড চিনতে পারে স্বাধীনতার বছর ১৯৪৭ সালে ‘জগনু’ ছবিতে অভিনয়ের পরে। তবে তার অনেক আগেই ১৯৪৪ সালে প্রথম ছবি। সেই ‘জোয়ার ভাটা’ ছবির প্রযোজক ছিলেন দেবিকা রানি। দেবিকাই নাকি, ইউসুফ খানকে ‘দিলীপ কুমার’ নাম নিতে বলেছিলেন। তাই অভিনেতা জীবনের শুরু থেকেই তিনি নতুন নামে পরিচিতি পেতে থাকেন। তবে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসা ইউসুফ অভিনয় শুরু করার পরে বাবা যাতে জানতে না পারেন তার জন্য নাম বদলেছিলেন বলেও শোনা যায়। এমনটা নাকি কোনও একটি সাক্ষাৎকারে নিজেই বলেছিলেন দিলীপ। তবে দেবিকা রানির ইচ্ছার কথাই লিখে গিয়েছেন দিলীপ।
তাঁর আত্মজীবনী ‘দ্য সাবস্টেন্স অ্যান্ড দ্য শ্যাডো’-তে দিলীপ লিখেছেন, ‘তিনি (দেবিকা রানি) বলেছিলেন, আমি ভাবছি তোমার একটা স্ক্রিন নাম হলে ভাল হয়।’ বইতে এমন লিখলেও ১৯৭০ সালে এক সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, বাবার ভয়েই নাম বদল করতে হয়েছিল। কারণ বাবা অভিনয় পেশাকে পছন্দই করতেন না। ‘নৌটঙ্কি’ বলে মনে করতেন। বন্ধু দেওয়ান বসেশ্বরনাথ কপুরের নাতি রাজ কপুরের অভিনয় জগতে আসাটাও মেনে নিতে পারেননি দিলীপের বাবা।