(বাঁ দিকে) সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সলমন খানের সঙ্গে কোলাকুলি করলেন অভিষেক। ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
বচ্চন পরিবারে অশান্তির খবর এখন মায়ানগরীর চর্চিত বিষয়। কানাঘুষো, তাঁদের পারিবারিক জটিলতা কমার নাকি নামগন্ধ নেই। এর মাঝেই বিচ্ছেদের জল্পনা ঐশ্বর্যা রাই-অভিষেক বচ্চনের। আলোচনা তুঙ্গে উঠল ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের ৫০তম জন্মদিনকে ঘিরে। বরাবরই বচ্চনদের মধ্যে ধুমধাম করে জন্মদিন পালনের চল রয়েছে। তবে এ বছর ঐশ্বর্যার জন্মদিনে তেমন কিছুই হয়নি। বরং মা বৃন্দা রাই ও মেয়ে আরাধ্যার সঙ্গেই দিনটি কাটিয়েছেন ঐশ্বর্যা। দায়সারা ভাবে শুভেচ্ছাবার্তা দেন অভিষেক, এমনটাই দাবি নেটপাড়ার। কিন্তু পারিবারিক এই অশান্তির মাঝেই আরেক কাণ্ড ঘটালেন অভিষেক। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে স্ত্রীর প্রাক্তন সলমন খানের সঙ্গে কোলাকুলি করলেন অভিষেক। একই অভিব্যক্তি অমিতাভ বচ্চনেরও।
সলমন ও ঐশ্বর্যা— এক সময় বলিপাড়ার বহুল চর্চিত জুটি। দু’জনের সম্পর্ক জায়গা করে নিয়েছিল সংবাদ শিরোনামে। ‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবিতে কাজ করার সময় সম্পর্ক তৈরি হয় তাঁদের মধ্যে। শোনা যায়, সম্পর্কে থাকাকালীন নাকি ঐশ্বর্যাকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে হেনস্থা করেছিলেন সলমন। সেই ঘটনা সে সময় নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বিনোদন জগৎকে। ২০০৪ সালে সেই সম্পর্কে ইতি টানেন ঐশ্বর্যা। ২০০৭ সালে অভিষেকের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। তার পর প্রায় ১৬ বছর দাম্পত্য পার করে এখন প্রায় নিত্যদিন অশান্তির জল্পনা। এর মাঝে বলিপাড়ার খ্যাতনামী প্রযোজক আনন্দ পণ্ডিতের জন্মদিনে সলমনের সঙ্গে কোলাকুলি করলেন অভিষেক। 'বিগ বুল', 'টোটাল ধামাল', 'সরকার ৩', 'চেহরে'-র মতো ছবি প্রযোজনা করেছেন আনন্দ। তাঁর ৬০ বছরের জন্মদিনে আমন্ত্রিত ছিলেন তাঁর ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরা। ছেলে অভিষেককে নিয়ে হাজির হন অমিতাভ। সেখানেই তাঁদের দেখা হয় সলমনের সঙ্গে। বাবা-ছেলে দুজনেই আলিঙ্গন করেন সলমনকে। বেশ কিছু ক্ষণ খোশগল্প করতেও দেখা যায় তাঁদের। সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাইরাল সেই ছবি। ইতিমধ্যেই দু’জনের এই ছবি নিয়ে হাসাহাসি শুরু হয়েছে নেটপাড়ায়। কেউ কেউ আবার সমবেদনা জানিয়েছেন ঐশ্বর্যাকে।