Farhan Akhtar

মা-বাবার বিচ্ছেদের পরে বদমেজাজি হয়ে ওঠেন ফারহান, কে সামলান অভিনেতাকে?

“সব কিছু নিয়েই ও সচেতন। আমি তো নিজের জগতেই থাকতাম। পরিবারের অন্দরে বা চারপাশে কী ঘটছে সে সব নিয়ে ওয়াকিবহাল থাকতাম না”, বললেন ফারহান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:০৩
Share:

ফারহান আখতার। ছবি: সংগৃহীত।

মা-বাবার বিচ্ছেদের বড় প্রভাব পড়েছিল ফারহান আখতারের উপর। সম্প্রতি রিয়া চক্রবর্তীর পডকাস্টে এমনই তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন পরিচালক-অভিনেতা। জাভেদ আখতার ও হানি ইরানির বিচ্ছেদের আগে পর্যন্ত জীবনে সব কিছু ঠিকঠাক চলছে বলেই মনে হত ফারহানের। কিন্তু, বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পরেই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ফারহানের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায়। এই প্রসঙ্গে অভিনেতা বললেন, “এই ঘটনার কারণে আমি কুঁকড়ে গিয়েছিলাম। এত ছোট ছিলাম যে ঘটনাটা বোঝার মতো মানসিকতাই ছিল না আমার। বুঝতেই পারছিলাম না ঠিক কী ঘটেছে!”

Advertisement

ঠিক সেই সময় ছোট ভাইকে সামলান দিদি জ়োয়া আখতার। ফারহানের কথায়, “বিচ্ছেদের ফলে মা যে দুঃখ, কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন, দিদি তার আঁচ পেতে দেয়নি আমাকে। দিদি বড় তাই আমাকে সব রকম ভাবে দায়িত্ব নিয়েছিল বিষয়টা থেকে আমাকে রক্ষা করার।”

তিনি আরও জানালেন, তাঁদের মা হানি নিজেও জ়োয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদ পরবর্তী মানসিক অবস্থা নিয়ে কথা বলতেন স্বচ্ছন্দে। জ়োয়া বরাবরই বয়সের তুলনায় একটু বেশি পরিণত। পরিস্থিতি শক্ত হাতে সামাল দিয়েছিলেন তিনিই। “দিদি তাড়াতাড়ি বড় হয়ে গিয়েছিল। সব কিছু নিয়েই ও সচেতন। আমি তো নিজের জগতেই থাকতাম। পরিবারের অন্দরে বা চারপাশে কী ঘটছে সে সব নিয়ে ওয়াকিবহাল থাকতাম না”, বললেন ফারহান।

Advertisement

অভিনেতার ব্যক্তিত্বেও প্রভাব ফেলেছিল মা-বাবার বিচ্ছেদ। ধীরে ধীরে জন্ম নেয় রাগ। স্বভাবে বদমেজাজি হয়ে ওঠেন ফারহান। পরবর্তী জীবনে যে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে তার সমাধানের প্রচেষ্টা না করে এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা প্রকট হয়ে ওঠে। সমস্যা শুনেই পালিয়ে যাওয়া তাঁর কাছে সহজ পথ মনে হতে থাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement