রুদ্রনীল ঘোষ
এ বার গেরুয়া শিবিরে বনি সেনগুপ্ত। খবর ছড়াতেই রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। তখনই ফের স্বমহিমায় নেটমাধ্যমে দেখা দিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। সম্প্রতি তিনিও যোগ দিয়েছেন বিজেপি-তে। যদিও এক জন সাধারণ নেটাগরিক হিসেবেই নেটমাধ্যমে পেশ করলেন দলবদলের হিড়িকের প্রকৃত কারণ। একাধিক অভিযোগের তির ছুড়লেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরক্ষণেই নেটাগরিকদের কটাক্ষে বিদ্ধ হলেন অভিনেতা স্বয়ং। তাঁর মতো করেই কবিতার ঢঙে মন্তব্য বিভাগে জ্বলজ্বল করছে জনৈক নেটাগরিকের মত, ‘ভক্ত ছিলাম অভিনয়ের, ভেবেছিলাম সেরা (মানুষ), কিন্তু প্রিয় শিল্পীর চাটুকারিতা পড়ল এ বার ধরা!’
ভিডিয়োয় ছন্দে ছন্দে কী জানিয়েছেন রুদ্রনীল? পড়শি দত্তবাবুর কথা বলেছেন তিনি। যাঁকে তিনি গত কাল সবুজ লুঙ্গি পরতে দেখেছিলেন, আজ সকালেই তিনি গেরুয়া ধুতিতে! তাই দেখে হতবাক অভিনেতার প্রশ্ন ‘বলি হচ্ছেটা কী?’ তার পরেই দত্তবাবুর জবানিতে রুদ্রনীলের দাবি, স্বাস্থ্যসাথী নামক ভুয়ো কার্ড, বেকারত্ব, টেট পরীক্ষা দিয়েও কর্মহীন, চাকরি চেয়ে বাম নেতা মইদুলের মৃত্যুর মতো বাঘা বাঘা কারণই নাকি শাসকদল ত্যাগের প্রধান কারণ। এ রকমই একাধিক অসন্তোষ নাকি সকলকে গেরুয়া শিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য করছে।
এখানেই শেষ নয়। রুদ্রনীল আঙুল তুলেছেন শাসকদলের মন্ত্রীর ১৩টি চাকরি চুরি, ক্লাব আর পুজোতে দেদার অনুদান, করোনায় প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা গোপন, আমপানে চাল চুরির দিকে। পাশাপাশি, তাঁর কটাক্ষ জোটবদ্ধ কংগ্রেস-বামদলের প্রতিও। ব্যঙ্গ করে বলেছেন, একসময়ে বাম দলে বলত তাদের রক্ত দিয়ে নাকি ভাত মেখে খায় কংগ্রেস। তিনি বিস্মিত, আজ সব ভুলে দুই দল এক জোট। ‘শত্রু মিত্র কোলাকুলি দেখছি আস্তে আস্তে।’
এর আগেও রুদ্রনীল ‘অন্যায়ের’ প্রতিবাদ জানিয়ে একাধিক ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। তাঁর প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরে মুগ্ধ হয়ে হু হু করে ভিউ, লাইক বেড়েছে প্রতি পোস্টের। ব্যতিক্রম তাঁর এই রাজনৈতিক ভাবাদর্শের বার্তা। সেই বার্তাই ব্যুমেরাং হয়ে ফিরেছে অভিনেতার দিকে, ‘দিদির প্রাণের ভাইয়েরা নাকি দু’নম্বরী করে, তারাই আবার সিদ্ধ সাধু গেরুয়া ধুতি পরে! (বোঝো!!) যাদের জ্বালায় দলে থেকেও কাজ গেল না করা, তারাই সবাই স্যানিটাইজড, পাল্টিবাজির দ্বারা!! (ভাবা যায়??)’