অঙ্কুশ হাজরা
বনি সেনগুপ্ত বিজেপি-তে যোগদান করতেই আনন্দবাজার ডিজিটালের তরফে ফোন গেল অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার কাছে। তার মাঝে অবশ্য একটি টুইটের ব্যবধান। যেখানে অঙ্কুশ লিখেছেন, ‘এত লেফট আউট কোনও দিন ফিল করিনি... হোলি আসছে, তখনই না হয় গায়ে রং লাগাব’!
কাকে নিয়ে এই টুইট? প্রশ্ন করতেই টলি অভিনেতা গেয়ে উঠলেন, ‘বড় একা লাগে’। ব্যস, প্রসঙ্গ স্পষ্ট। কিন্তু নাম নেওয়া বারণ। অভিনেতার মন ভরা এখন অভিমান। বন্ধুদের ফোন করলেই নাকি তাঁরা জানান, এখন খুব ব্যস্ত। পরে বাড়িতে পার্টি করবেন। অভিমানী অঙ্কুশ বললেন, ‘‘এখন সব বুঝতে পারছি। কে কোথায় ব্যস্ত!’’ জানালেন, বহু দিন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা হয় না। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন কাছে আসতে না আসতেই গোটা টলিউড ব্যস্ত হয়ে পড়েছে যে। কেউ এ-দলে, কেউ ও-দলে গিয়ে ‘রং মাখছেন’। অঙ্কুশ জানিয়ে দিলেন, দোলের আগে কোনও রং মাখামাখিতেই তিনি নেই।
বন্ধুরা রাজনীতিতে যাচ্ছেন বলে কি অখুশি অঙ্কুশ? তেমনটাও নয়। বরং সকলে নিজের নিজের পথ বেছে নিচ্ছেন বলে খুশি হয়েছেন। তিনি চান, যে দলেরই হোক, তাঁর সব বন্ধুরা যেন নির্বাচনে জেতেন। তার পরে জোরদার পার্টি হবে অঙ্কুশের বাড়িতে। কিন্তু তাঁর একটাই আর্জি, টলিউডে বা যে কোনও আড্ডায় যেন রাজনৈতিক প্রসঙ্গ নিয়ে ঝগড়াঝাঁটিতে না জড়ান কেউ। বন্ধুত্ব যেন অটুট থাকে।
প্রেমিক-প্রেমিকারা দু’টো প্রতিপক্ষ দলে যোগ দিচ্ছেন। নিজের জীবনে এমন পরিস্থিতি এলে কী করতেন অঙ্কুশ? বনি-কৌশানী কিংবা নুসরত-যশের নাম মুখে আনলেন না অভিনেতা। তবে এ রকম জুটিদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এ তো শুভলক্ষণ। তার মানে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। যেটা চাইছেন, সেটাই করছেন।’’ বন্ধু বনির প্রসঙ্গে এ বার মুখ খুললেন। বললেন, ‘‘৭-৮ বছরের সম্পর্ক ওঁদের। নিশ্চয়ই ভেবেচিন্তেই সবটা করেছেন ওঁরা। এ রকম পরিস্থিতিতে আমারও কোনও সমস্যা হত না।’’
কিন্তু চারদিক তো মিমে মিমে ছয়লাপ। লোকে যে বলছেন, টলিউড প্রায় ফাঁকা! যাঁরা যাঁরা টলিউডে যোগদান করতে চান, চলে যেতে পারেন! টলিউডের হাতে গোনা যে ক’জন এখনও কোনও দলে যোগ দেননি, তাঁদের এক জন অঙ্কুশ। এই সব মশকরার বিষয়ে কী বলতে চান তিনি? প্রশ্নটা শুনেই হেসে ফেললেন অভিনেতা। বঙ্গবাসীকে প্রাণভরা স্বাগত জানিয়ে তাঁর উত্তর, ‘‘যাঁরা টলিউডে আসতে চান, চলে আসুন। আমি, জিতদা আর বুম্বাদা আছি। সকলকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দেব।’’
একাকী অঙ্কুশ এখন শুধু অপেক্ষা করছেন, কবে এই নির্বাচনপর্ব শেষ হবে! তার পরেই আবার আগের মতো নিজেদের বাড়িতে পার্টি করবেন। সব দলের বন্ধুরাই যেন একসঙ্গে আসেন, সেটুকুই আশা অভিনেতার।