ধূপগুড়ির জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে ধূপগুড়িকে মহকুমা করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বিধানসভার নির্বাচন শেষ হলেই তা সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হবে। বুধবার ধূপগুড়িতে ভোটপ্রচারে এসে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার ধূপগুড়ির বিদায়ী বিধায়ক তথা ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মিতালি রায়ের সমর্থনে জনসভা করেন মমতা। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘এখানকার বিধায়ক মিতালি রায় এবং আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী আমাকে বলেছেন যে ধূপগুড়িকে মহকুমা করা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তার কাজ শুরু হয়েছে। ভোটের পরই সরকারি ভাবে তা ঘোষণা করা হবে।’’
কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় নিহত সিআরপিএফ জওয়ান তথা ধূপগুড়ির বাসিন্দা জগন্নাথ রায়ের পরিবারকে বুধবার সভামঞ্চে ডেকে নেন মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচনী বিধি থাকায় সভায় ঘোষণা না করলেও নিহতের পরিবারকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘নির্বাচনী বিধি রয়েছে। তাই প্রকাশ্যে এ ব্যাপারে কিছু বলা যাবে না। আমরা এই মুহূর্তে কোনও কিছু বলছি না। তবে শহিদের পরিবারকে সব রকম ভাবে সাহায্য করা হবে।’’
প্রসঙ্গত, গত ২৫ মার্চ জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গিহানায় গুলিবিদ্ধ হন জগন্নাথ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ মার্চ নিহত হন তিনি। বুধবার জগন্নাথের পরিবারকে মঞ্চে ডেকে কথা বলেন মমতা। জগন্নাথের মা এবং স্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেন। সন্তানকে কোলে নিয়ে আদরও করেন। সেই সঙ্গে তাদের সমস্ত রকম সরকারি সুযোগ-সুবিধার আশ্বাস দেন। পরে জগন্নাথে স্ত্রী তাপসী রায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আমাদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’’