— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বছরশেষেও কনকনে ঠান্ডার দেখা নেই। বড়দিনেও নামল না রাজ্যের পারদ। বরং গত কয়েক বছরে বড়দিনে এত গরম দেখেনি রাজ্যবাসী। বুধবার এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আগামী তিন দিন রাজ্যে রাতের তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ, বছরের শেষ সপ্তাহেও জাঁকিয়ে শীত পড়বে না। তার পর থেকে দু’দিন ধরে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে। বুধবার উত্তরের কয়েকটি জেলায় হালকা বৃষ্টিরও পূর্বাভাস রয়েছে।
বড়দিনে দার্জিলিঙে হালকা বৃষ্টির পাশাপাশি তুষারপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে। শনি ও রবিবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরের ওই জেলায়। পাশাপাশি, সপ্তাহান্তে হালকা বৃষ্টিতে ভিজতে পারে কালিম্পং, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহও। এ ছাড়া বাকি দিনগুলিতে উত্তরের জেলাগুলিতে শুষ্কই থাকবে আবহাওয়া।
চলতি সপ্তাহে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় কুয়াশার জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর। তবে কোনও জেলাতেই কুয়াশার জন্য সতর্কতা জারি করা হয়নি। বড়দিনে উত্তরের সব জেলাই হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশায় ঢাকতে পারে। বৃহস্পতিবার কুয়াশাচ্ছন্ন থাকতে পারে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর এবং মালদহ।
দক্ষিণে বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস দেয়নি আলিপুর। যদিও বড়দিনের সকালে দক্ষিণের কয়েকটি এলাকায় ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হয়েছে কলকাতার একাধিক জায়গাতেও। দক্ষিণবঙ্গে সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়লে কুয়াশার মেঘ কেটেছে। কোথাও আকাশ মেঘলা, কোথাও আবার পরিষ্কার। কলকাতাতেও সারা দিন আকাশ অংশত মেঘলা থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর। মঙ্গলে শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৪ ডিগ্রি বেশি ছিল (২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। বড়দিনের সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়েছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তা-ও স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৩.৫ ডিগ্রি বেশি। গত কয়েক বছরের মধ্যে এটিই ‘উষ্ণতম’ বড়দিন! গত বছর এই দিনে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.১ ডিগ্রি। তবে শুক্রবারের পর থেকে সামান্য নামতে পারে পারদ। কিন্তু নতুন বছর আসার আগে শীতের দেখা মিলবে না বঙ্গে!