জাল পাসপোর্টের তদন্তে দত্তপুকুর থেকে গ্রেফতার এক অভিযুক্ত। —প্রতীকী চিত্র।
পাসপোর্ট জালিয়াতি মামলার তদন্তে এ বার উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানা এলাকা থেকে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার ভোরে দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত ছোট জাগুলিয়া অঞ্চল থেকে পাকড়াও করা হয়েছে তাঁকে। ধৃতের নাম মোক্তার আলম। ২০২১ সালে চুঁচুড়া থানার একটি মামলাতেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে ছাড়া পেয়ে যান। ধৃত মোক্তারের থেকে বেশ কয়েকটি এটিএম কার্ড পাওয়া গিয়েছে। এ ছাড়া ভিন্ন ভিন্ন মানুষের নামে থাকা কিছু প্যান কার্ডও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
জাল পাসপোর্ট মামলার তদন্তে ইতিমধ্যে একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে লালবাজার। পুলিশের সন্দেহ, ভুয়ো নথিপত্রের মাধ্যমে জাল পাসপোর্ট বানিয়ে দিচ্ছে একটি চক্র। ওই মামলার তদন্তে কলকাতা এবং শহরতলির বেশ কিছু অঞ্চলে হানা দেয় পুলিশের দল। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটেও জাল পাসপোর্ট মামলার তদন্তে পুলিশের অভিযান চলেছে। ধরপাকড়ও হয়েছে। এরই মধ্যে বুধবার ভোরে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।
সূত্রের খবর, আগেও জাল পাসপোর্ট সংক্রান্ত অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে এলাকাবাসীদের দাবি, তাঁরা কেউই জানতেন না মোক্তারের এই অবৈধ কারবারে যোগের কথা। এলাকাবাসীরা জানতেন, তিনি আমদানি-রফতানির ব্যবসা করতেন।
জাল পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়ার একটি চক্র পাসপোর্ট জালিয়াতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। সে ক্ষেত্রে চক্রের জাল কত দূর বিস্তৃত, কারা এই অবৈধ কারবারের সঙ্গে জড়িত, সেই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
গত মাসের শেষের দিকে কলকাতার পার্ক স্ট্রিট অঞ্চলে একটি হোটেল থেকে এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রায় দু’বছর আগে বেআইনি ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন তিনি। তাঁর থেকে একটি পাসপোর্টও পাওয়া গিয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছিল, ওই ব্যক্তির নাম সেলিম মাতব্বর। অথচ পাসপোর্টে নাম ছিল রবি শর্মা। ওই বাংলাদেশি নাম ভাঁড়িয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট বানিয়ে পার্ক স্ট্রিটের হোটেলে কাজ নিয়েছিলেন কি না, এই প্রশ্নও উঠে এসেছিল সে সময়ে।