আব্বাস সিদ্দিকি ও ফিরহাদ হাকিম।
আব্বাস সিদ্দিকি সিপিএমের আশ্রয়ে কমরেড আব্বাস হয়ে গিয়েছেন বলে মন্তব্য করলেন ফিরহাদ হাকিম। আব্বাসের দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট থেকে সোমবার বেশ কয়েকজন নেতা তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে আইএসএফের নেতাদের দলে যোগদান করান বিদায়ী মন্ত্রিসভার পুরমন্ত্রী।তার পরই এই মন্তব্য করেন ফিরহাদ।
ফিরহাদ বলেন, ‘‘আব্বাস এখন আর আব্বাস সিদ্দিকি নেই। উনি সিপিএমের কাছে আশ্রয় নিয়ে কমরেড আব্বাস সিদ্দিকি হয়ে গিয়েছেন।’’ আইএসএফ নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘‘আইএসএফ নিজেকে আত্মসমর্পণ করেছে সিপিএমের কাছে। বাম জমানায় সংখ্যালঘুরা কতটা পিছিয়ে ছিল, তা সাচার কমিটির রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছিল। সিপিএম কী অবস্থা করেছিল তা জানে আইএসএফ। সেই সিপিএমের আশ্রয় নিল তারা।’’
সোমবার আইএসএফের সহ সভাপতি তথা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পর্যবেক্ষক হাজি মহম্মদ ওরফে কওসর আলি মল্লিক দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। পাশাপাশি, আইএসএফের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা আব্দুল করিম মেনন ও আব্দুল মেহবুব তৃণমূলে নাম লেখান। বন্দর এলাকার কংগ্রেস নেতা চিকিৎসক সাকিল আখতার কংগ্রেস থেকে এ দিন তৃণমূলে যোগদান করলেন।
এ দিন কংগ্রেসকেও এক হাত নেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘‘যদি গুজরাতে নিরপেক্ষ তদন্ত হত, তা হলে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হতেন না। অমিত শাহ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হতেন না। তাই এই দায় কংগ্রেসকে নিতেই হবে।’’
দলে ভাঙন ও ফিরহাদের আক্রমণের কথা কানে এসেছে আইএসএফ নেতৃত্বের। প্রতিক্রিয়ায় দলের মুখপাত্র সৌমিত্র দস্তিদার বলেন, ‘‘মতাদর্শের ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করি। তাই দু-একজন দল থেকে এল বা গেল, তাতে দলের সংগঠনে কোনও প্রভাব পড়বে না। আর ভোটের সময় নেতারা নানা কথা বলেই থাকেন। কে কী বলল, তাতে আমাদের কিছু এসে যায় না। আমরা এই ধরনের মন্তব্যের কোনও জবাব দিতে চাই না।’’