Mamata Banerjee

Bengal Poll: বহিরাগত দুষ্কৃতীদের ‘ঠিকানা’ কমিশনকে দিল তৃণমূল, আপত্তি ভিনরাজ্যের পুলিশে

মমতা অভিযোগ করেছিলেন, নন্দীগ্রামে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের জড়ো করছে বিজেপি।  সোমবার তৃণমূলের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই অভিযোগ জানানো হল নির্বাচন কমিশনের কাছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২১ ২১:৩২
Share:

শশী পাঁজা, ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়। গ্রাফিক: নিরুপম পাল।

তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার অভিযোগ করেছিলেন, নন্দীগ্রামে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের জড়ো করছে বিজেপি। সোমবার তৃণমূলের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই অভিযোগ জানানো হল নির্বাচন কমিশনের কাছে। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ বা অন্য কোনও এনডিএ শাসিত রাজ্যের পুলিশবাহিনী না আনারও দাবি জানানো হয়েছে কমিশনের কাছে।

Advertisement

সোমবার তৃণমূলের তরফে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং শশী পাঁজা রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে গিয়ে ২টি স্মারকলিপি দেন। সেখানে সুনির্দিষ্ট ভাবে নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের ভাড়া করে এনে নন্দীগ্রাম এবং লাগোয়া এলাকাগুলিতে রাখার অভিযোগ করা হয়েছে। তারা নিয়মিত ‘ভোটের কাজে’ অংশ নিচ্ছে বলেও তৃণমূলের অভিযোগ।

‘বহিরাগত দুষ্কৃতীদের ৫টি ডেরা’র কথাও জানানো হয়েছে চিঠিতে। তৃণমূলের দাবি, পূর্ব মেদিনীপুরের এই ৫টি এলাকায় রয়েছে বিজেপি-র বহিরাগত দুষ্কৃতীরা— ১. নন্দকুমারে জাতীয় সড়কের মোড়ে কিছু বিজেপি নেতার বাড়ি এবং হোটেল, লজ ও গেস্ট হাউস ২. নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের রেয়াপাড়ার পালইমোড়ে জনৈক অঞ্জন ভারতীর মালিকানাধীন ইএন পাবলিক স্কুল ৩. চণ্ডীপুরে বিভিন্ন হোটেল, লজ, গেস্ট হাউস এবং ভাড়া বাড়ি ৪. জনৈক কালীপদ শির বাড়ি তথা সেখানে অবস্থিত বিজেপি-র নির্বাচনী কার্যালয় ৫. নন্দীগ্রাম থানার অন্তর্গত হরিপুর, রাম চক, গোপাল চক এবং রেয়াপাড়া।

Advertisement

রাজ্যে ভোটপ্রক্রিয়া চলায় পুলিশ-প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পুলিশি পদক্ষেপ এবং দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারির দাবি জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের সভায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম এবং আশপাশের এলাকায় বাইরে থেকে সশস্ত্র সমাজবিরোধী ঢোকানোর অভিযোগ করেছিলেন মমতা। সেই সঙ্গে জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতির উপর ‘নজর’ রাখতে তিনি ৫ দিন নন্দীগ্রামে থাকবেন।

বিধানসভা ভোটে এনডিএ শাসিত রাজ্যের পুলিশ মোতায়েন না করার পক্ষেও যুক্তি দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে বিজেপি-র তারকা প্রচারকের তালিকায় রয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান, উত্তরপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং বিহারের মন্ত্রী সৈয়দ শাহনওয়াজ হুসেন। মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই রয়েছে পুলিশ। তাই এই পরিস্থিতিতে ওই রাজ্যগুলি থেকে পশ্চিমবঙ্গের ভোটে পুলিশ না আনার দাবি জানিয়েছে তৃণমূল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement