কুলটি এবং কান্দির জনসভা থেকে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করলেন স্মৃতি ইরানি। —নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভা দখলের পর এক এক করে তৃণমূলের গুন্ডাদের জেলে ঢোকানো হবে। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদে কান্দির নির্বাচনী জনসভা থেকে এই হুমকি দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তাঁর দাবি, ২ মে বিধানসভা ভোটে ফলাফল ঘোষণার দিন বিজেপি-র জয় নিশ্চিত। সে দিন থেকেই তৃণমূল-আশ্রিত গুন্ডাদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে কান্দির হ্যালিফক্স মাঠে ওই বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী গৌতম রায়ের সমর্থনে সভা করেন স্মৃতি। তার আগে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলেও বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে জনসভায় ভাষণ দেন তিনি। কুলটি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী অজয় পোদ্দারের সমর্থনে সভাতেও একই রকম সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে স্মৃতিকে। ২টি জনসভাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি। স্মৃতির দাবি, “তৃণমূলের এক নেতা বিজেপি কর্মীদের মারধরের হুমকি দিয়েছেন। তৃণমূল গুন্ডারা পঞ্চায়েত লুঠ করেছে। ২ মে-র পর তৃণমূলের এক-একটা গুন্ডাকে জেলে ঢোকানো হবে।”
বিজেপি-র জয়ের মতোই নন্দীগ্রাম আসনে মমতার হার নিয়ে প্রত্যয়ী স্মৃতি। ভবানীপুর আসনের বদলে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়ার মমতার সিদ্ধান্ত নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। স্মৃতি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়ে ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে গিয়েছেন। বাংলায় বিজেপি-র সরকার হবে। এই নির্বাচনে তৃণমূল সরকার যাচ্ছে, বিজেপি সরকার আসছে।”
কান্দির আগে কুলটির সভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন স্মৃতি। তাঁর কথায়, “দিদি বলেছিলেন, পরিবর্তন হবে। বামপন্থীদের দুর্নীতি এখন তৃণমূলের কাটমানিতে পরিণত হয়েছে। দিদি বলেছিলেন, পরিবর্তন হবে। বামপন্থীদের হিংসা এখন তৃণমূলের হিংসায় পরিণত হয়েছে।”