প্রচারে বেরিয়েছেন বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। —ফাইল চিত্র ।
বহরমপুরের প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে মালা পরানো নিয়ে প্রকাশ্যে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি এবং পঞ্চায়েত প্রধানের দ্বন্দ্ব! তৃণমূল প্রার্থীকে মালা পরাতে গেলে বড়ঞা উত্তর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি গোলাম মোর্শেদ জর্জের সঙ্গে বাগ্বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন কুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জেসমিনা আহমেদ এবং তাঁর স্বামী আবু বক্কর। শেষমেশ ইউসুফের প্রচারের গাড়ি থামিয়ে ‘জোরপূর্বক’ তাঁর গাড়িতে উঠে মালা পরিয়ে দেন পঞ্চায়েত প্রধান এবং তাঁর স্বামী। যদিও গোটা বিষয়টিকেই ‘অবাঞ্ছিত নাটক’ বলে কটাক্ষ ব্লক সভাপতির।
বৃহস্পতিবার বড়ঞা বিধানসভার অন্তর্গত কুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমরাই গ্রাম থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ। গোলাপ আর রজনীগন্ধার মালাতে দলীয় প্রার্থীকে অভ্যর্থনা জানাবেন বলে রাস্তার ধারে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান, তাঁর স্বামী এবং অনুগামীরা। হুডখোলা গাড়িতে প্রার্থীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ব্লক সভাপতি। পঞ্চায়েত প্রধান জেসমিনা এবং তাঁর স্বামীর অভিযোগ, ইউসুফকে মালা পরানোর জন্য তাঁরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করলেও প্রচারের গাড়ি থামানো হয়নি। গোটা বিষয়টিই ব্লক সভাপতির ইন্ধনে হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। যদিও এর পরে ‘জোরপূর্বক’ প্রচার গাড়়িতে চড়ে পঞ্চায়েত প্রধান এবং তাঁর স্বামী ইউসুফকে মালা পরিয়ে দেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। বাগ্বিতণ্ডাতেও জড়িয়ে পড়েন ব্লক সভাপতি এবং পঞ্চায়েত প্রধানের অনুগামীরা। যদিও কয়েক মিনিটের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আবার প্রচার শুরু করেন ইউসুফ।
এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান জেসমিনা বলেন, ‘‘ব্লক সভাপতি গোলাম মোর্শেদ জর্জ নিজে ইউসুফ পাঠানের গাড়ি দাঁড় করাতে চাননি। পুরো বিষয়টি ইচ্ছাকৃত ভাবে করা হয়েছে। আগামী দিনে নির্দিষ্ট জায়গায় অভিযোগ করা হবে।’’ সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ব্লক সভাপতি বলেন, ‘‘উনিতো মালা পরিয়েছেন। তা হলে এত বিতর্ক কিসের? এ সব অবাঞ্ছিত নাটক কেন?’’