মুকুল রায়। ফাইল চিত্র।
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন মুকুল রায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে কলকাতায় বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পরিবার সূত্রে খবর, কয়েক দিন ধরে ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া করছিলেন না। তাই দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাই তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। সেই পরামর্শ মেনেই কাঁচরাপাড়ার বাড়ি থেকে দুপুরে নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে মুকুলকে।
এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক মুকুলকে। সেই সময় শারীরিক সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে পরিবার সূ্ত্রে খবর। তখন মুকুলের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছিলেন, তাঁর মাথায় জল জমেছে। এই রোগ তাঁর পুরনো।
মুকুল এখন কাঁচরাপাড়ার বাড়িতেই থাকেন। ডিমেনশিয়া রোগেও ভুগছেন তিনি। বিজেপি থেকে আবার তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুলকে গত ফেব্রুয়ারিতে নোটিস পাঠিয়েছিল ইডি। পুরনো চিটফান্ড মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু মুকুলের অসুস্থতার কথা জানিয়ে ইডিকে চিঠি দেয় তাঁর পরিবার। তার পরই ইডি আধিকারিকেরা বিধায়কের বাড়িতে আসেন।
এ নিয়ে মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু বলেছিলেন, ‘‘আমরা প্রথম দিন থেকেই বলে এসেছি যে, সহযোগিতা করব। আমরা চিঠি দেওয়ার পর ওরা বলে বাড়িতে আসবে। আজ এসেছিল। কথাবার্তা বলে গিয়েছে। ওরা আড়াই-তিন ঘণ্টা ছিল। পুরোপুরি সহযোগিতা করা হয়েছে। আমি বাড়িতে ছিলাম না। একটা কাজে বাইরে ছিলাম। শুনেছি ওরা খুশি।”
এক সময় তৃণমূলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ ছিলেন মুকুল। রাজ্য রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম ‘বিশ্বস্ত সৈনিক’ হিসাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। পরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে পদ্ম প্রতীকে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে ভোটে লড়েন মুকুল। জয়ীও হন। ভোটের ফল ঘোষণার কিছু দিনের মধ্যেই মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ঘটে মুকুলের। যা ঘিরে সরগরম হয় রাজনীতির অলিন্দ। এর পর মুকুলের বিধায়ক পদ বাতিল নিয়ে সরব হয় বিজেপি। যা নিয়ে টানাপড়েন চলে। এই সময়েই সক্রিয় রাজনীতি থেকে ‘উধাও’ হয়ে যান মুকুল।