সিঙ্গুরে প্রচারে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
সিঙ্গুরে ভোটের প্রচারে গিয়ে নতুন ধরনের জলখাবার খেলেন তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে হুগলির দই এবং ঘুগনি খেয়েছিলেন তিনি। ওই দু’টি খাবারেরই ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। হুগলির দইতে রচনা এতই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে, শুধু দই নয়, গরুর প্রশংসাও করেন তিনি। এ বার রচনা সিঙ্গুরে গিয়ে জলখাবারে খেলেন মুড়ি এবং আলুর দম। নিজেই জানালেন, এর আগে কখনও এই খাবার খাননি।
সিঙ্গুরের রাজারবাথান এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে প্রচারে বেরিয়েছিলেন রচনা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্না ও হরিপালের বিধায়ক করবী মান্না-সহ দলের অন্যরা। ধামসা-মাদল এবং ব্যান্ডের তালে তালে হুডখোলা গাড়িতে চেপে প্রচার করেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী। এর পর দলীয় এক কর্মীর বাড়িতে সকালের জলখাবার খান রচনা। তাঁকে একটি থালায় সাজিয়ে দেওয়া হয় মুড়ি এবং আলুর দম। সঙ্গে থালার এক পাশে ছিল কাঁচালঙ্কা এবং পেঁয়াজের টুকরো।
সিঙ্গুরের ঘরে ঘরে এই খাবার অত্যন্ত পরিচিত। কিন্তু রচনার কাছে মুড়ির সঙ্গে আলুর দমের এই সংযোগ ছিল একেবারে নতুন। রাখঢাক না করেই সে কথা জানিয়েছেন তিনি। মুড়ির সঙ্গে আলুর দম চেখে রচনা বলেন, ‘‘রোজ সকালে এখানকার সব ভাল ভাল খাবার খাচ্ছি। খুব ভাল লাগছে। সিঙ্গুরের বিখ্যাত খাবার মুড়ি আর আলুর দম। সেটাও খেলাম, খুব ভাল লাগল। আলুর দমটা খুব সুস্বাদু ছিল। এ সব কলকাতায় খাওয়া হয় না। বাড়িতেও মুড়ি খাই। কিন্তু সেটা বিকেলে চা বা কফির সঙ্গে। আলুর দম দিয়ে মুড়ি এই প্রথম খেলাম। সকালে জলখাবার হিসাবেও মুড়ি আগে কখনও খাইনি।’’
এর আগে সিঙ্গুরের এক তৃণমূলকর্মীর বাড়িতে দই খেয়ে রচনা বলেছিলেন, ‘‘সিঙ্গুরের জমির ঘাস খেয়ে গরু হৃষ্টপুষ্ট হয়। আর সেই গরুর দুধ থেকে ভাল দই হয়। আমি যখনই বাড়ি যাব, তখন দই নিয়ে যাব।’’ তার পর এক দিন তিনি পান্ডুয়ায় রাস্তার ধারে ঘুগনি খেয়েছিলেন। ঘুগনির প্রশংসা করে বলেছিলেন ‘‘খুব ভাল ঘুগনি। আমার বাড়ির চেয়েও ভাল। এখানে সবই ভাল, তাই ঘুগনিও ভাল।’’ তার পর রচনা হাসতে হাসতে বলেছিলেন, ‘‘আমি তো শুধু খাওয়ার মধ্যেই আছি। নিজে খাচ্ছি, অন্যদেরও খাওয়াচ্ছি।’’ ঘুগনি, দইয়ের পর এ বার রচনার পাতে পড়ল আলুর দম এবং মুড়ি। আগামী ২০ মে পঞ্চম দফায় ভোট হুগলিতে। রচনার বিরুদ্ধে সেখানে বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ বাংলা সিনেমার আর এক প্রাক্তন অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়।