)বাঁ দিক থেকে) রাহুল, মোদী এবং প্রিয়ঙ্কা। — ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের প্রচারের গোড়া থেকেই রাহুল গান্ধীকে ধারাবাহিক ভাবে ‘শাহজ়াদা’ বলে কটাক্ষ করছেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিটি জনসভায় তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ওই বিশেষণ ব্যবহারের পরেই চলে যাচ্ছেন ‘কংগ্রেসের সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি’ প্রসঙ্গে!
কখনও প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ‘‘বাদশা, সুলতান, নিজ়াম, নবাবরা ভারতবাসীর উপরে যে অত্যাচার করেছেন তা নিয়ে শাহজ়াদার মুখে তালা, কথা বন্ধ।’’ কখনও তাঁর মন্তব্য, ‘‘স্বাধীনতার পর থেকে কংগ্রেস মুসলিম ভোটব্যাঙ্ককে তোষণের রাজনীতি করেছে।’’ কখনও আবার ‘সাবধানবাণী’ শোনাচ্ছেন, ‘‘কংগ্রেসের পরিকল্পনা হল দেশবাসীর সম্পদ ছিনিয়ে নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া।’’
এমনকী, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ তফসিলি জাতি-জনজাতি (এসসি-এসটি) এবং অন্যান্য অনগ্রসর জনগোষ্ঠী (ওবিসি)-র কোটা থেকে মুসলিমদেরও সংরক্ষণের ভাগ দিতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে শনিবার মোদীকে পাল্টা আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ‘শাহেনশা’ শব্দ ব্যবহার করলেন তিনি।
শনিবার ঝাড়খণ্ডে বিজেপির সভায় মোদী বলেন, ‘‘এখন পাকিস্তান চাইছে যাতে কংগ্রেসের শাহজ়াদা ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়।’’ কয়েক ঘণ্টা পরেই মোদীর রাজ্য গুজরাতে গিয়ে তাঁকে নিশানা করেন প্রিয়ঙ্কা। বনাসকাঁটায় কংগ্রেসের ‘ন্যায় সঙ্কল্প সভা’য় তিনি বলেন, ‘‘এই রাজ্যের এক শাহেনশাহ আছেন। তিনি প্রাসাদে থাকেন। মানুষের দুঃখ, দুর্দশা তাঁর নজরে আসে না। আমার দাদা রাহুল কিন্তু মানুষের সমস্যা বুঝতে ৪,০০০ কিলোমিটার পথ হেঁটেছেন।’’