গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
অমেঠী এবং রায়বরেলীতে কংগ্রেসের প্রার্থী ঘোষণার পরেই ‘গান্ধী পরিবারে অন্তর্বিরোধের তত্ত্ব’ খাড়া করল বিজেপি। পদ্মশিবিরের আইটি সেলের কর্তা অমিত মালবীয়ের দাবি, রাহুল গান্ধীর গোষ্ঠী কংগ্রেসের অন্দরে ক্রমশ কোণঠাসা করছে বোন প্রিয়ঙ্কা এবং তাঁর স্বামী রবার্ট বঢরাকে।
মালবীয় শনিবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে খোঁচা দিয়ে লিখেছেন, ‘‘রবার্ট বঢরার জন্য একটি অদ্ভুত মুহূর্ত। যিনি অমেঠীতে তাঁর বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে দাবি করা সত্ত্বেও, আসনটির জন্য তাঁকে উপেক্ষা করা হয়েছে। এটা স্পষ্ট যে রাহুল গান্ধী শিবির কংগ্রেসে প্রিয়ঙ্কা বঢরা এবং তার স্বামী দু’জনকেই সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে কোণঠাসা করছে। বোন বিদ্রোহ করার আগেই দ্রুততার সঙ্গে?’’
শুক্রবার লোকসভা ভোটের প্রার্থী হিসাবে রায়বরেলীতে রাহুল এবং অমেঠীতে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা কিশোরীলাল শর্মার নাম ঘোষিত হয়েছে। তার তা নিয়েই প্রশ্ন বিজেপির। কারণ, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জল্পনা ছিল রাহুল না লড়লে অমেঠীতে প্রার্থী করা হতে পারে রবার্টকে। গান্ধী পরিবারের জামাইয়ের সমর্থনে পোস্টারও পড়েছিল উত্তরপ্রদেশের ওই কেন্দ্রে।
এমনকী, স্বয়ং রবার্ট সেই জল্পনা উস্কে দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘সারা দেশ থেকে আওয়াজ উঠেছে। সকলে চাইছেন, আমি সক্রিয় রাজনীতিতে আসি। কারণ, আমি সব সময় দেশের মানুষের মধ্যেই ছিলাম। আমি ১৯৯৯ সাল থেকে অমেঠীতে প্রচার করছি।’’ ঘটনাচক্রে, এ বার লোকসভা ভোটে প্রিয়ঙ্কা প্রার্থী হতে পারেন বলেও কংগ্রেসের একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবারই দলের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, প্রিয়ঙ্কা ভোটে না লড়ে প্রচারে ব্যস্ত থাকবেন।
কংগ্রেসের কাছে অমেঠী খুবই গুরুত্বপূর্ণ আসন। কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি অমেঠীতে অধিকাংশ সময়েই গান্ধী পরিবারের কোনও না কোনও সদস্য প্রার্থী হয়েছেন এবং জিতেছেন। অতীতে এই আসন থেকে সঞ্জয় গান্ধী, রাজীব গান্ধী, সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল সাংসদ হয়েছেন। যদিও ২০১৯ সালে অমেঠীতে স্মৃতি ইরানির কাছে প্রায় ৫৫ হাজার ভোটে হারের পরে রাহুল মাত্র বার তিনেক সেখানে গিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। অমেঠীতে রাহুল প্রার্থী না হওয়ায় শুক্রবার তাঁকে ‘হারের ভয়ে পালিয়েছেন’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্মৃতি। শনিতে বিজেপি সামনে আনল ‘গান্ধীদের পারিবারিক বিবাদের তত্ত্ব’।