গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
শুরু হয়েছিল গত ১৯ এপ্রিল। শনিবার সপ্তম দফায় ৫৭ আসনে ভোটগ্রহণ পর্বের মাধ্যমে শেষ হতে চলেছে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গের ৪২টির মধ্যে ন’টি লোকসভা আসন— বারাসত, দমদম, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর, কলকাতা দক্ষিণ এবং কলকাতা উত্তর রয়েছে এই তালিকায়।
সপ্তম তথা শেষ দফায় সাতটি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট হবে। উত্তরপ্রদেশের ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৩টি, বিহারের ৪০টির মধ্যে আটটি, ওড়িশায় ২১-এর মধ্যে ছ’টি এবং ঝাড়খণ্ডের ১৪-র মধ্যে তিনটিতে ভোট হবে। পঞ্জাবের ১৩ এবং হিমাচলের চারটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে সবক’টি এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়ের এক মাত্র আসনে ভোট হবে এই দফায়।
সপ্তম দফায় ৫৭ আসনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৯০৭। জনতার দরবারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ভাগ্যপরীক্ষা’ এই দফাতেই। এই নিয়ে তৃতীয় বার উত্তরপ্রদেশের বারাণসী আসনে ভোটে লড়তে নেমেছেন তিনি। বিজেপির অন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কঙ্গনা রানাউত (মণ্ডী), অনুরাগ ঠাকুর (হামিরপুর), রবিশঙ্কর প্রসাদ (পটনা সাহিব)। কংগ্রেসের টিকিটে লড়ছেন পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চন্নী (জালন্ধর) এবং দুই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আনন্দ শর্মা (কাংড়া) এবং মণীশ তিওয়ারি (চণ্ডীগড়)।
আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের কন্যা মিসা ভারতী (পাটলিপুত্র) এবং শিরোমণি অকালি দলের প্রধান সুখবীর সিংহ বাদলের স্ত্রী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কউর বাদল রয়েছেন এই তালিকায়। রয়েছেন সমাজবাদী পার্টির বাহুবলী বিদায়ী সাংসদ আফজল আনসারি (গাজিপুর) এবং ভোজপুরী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্দল প্রার্থী পবন সিংহ (কারাকাট)। প্রায় দেড় মাস ধরে চলা ভোটপর্ব শেষ হওয়ার পরেই নির্বাচনীবিধি অনুযায়ী বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং জনমত সমীক্ষা সংস্থার বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে। এনডিএ না কি ‘ইন্ডিয়া’, তা নিয়ে জল্পনা চলবে আগামী মঙ্গলবার, ভোটগণনার দিন পর্যন্ত।