যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র ।
প্রচারে বেরিয়ে বাধার মুখে পড়লেন যাদবপুরের বাম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার গড়িয়ার পঞ্চসায়রে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। প্রচারগাড়ি থেকে পতাকা ছিঁড়ে নেওয়ারও অভিযোগ করা হয়। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে সিপিএম। সিপিএমের দাবি, লোকসভায় ‘হেরে যাওয়ার ভয়ে’ বাম প্রার্থীকে বাধা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে তৃণমূল। যদিও তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে গড়িয়া এলাকায় হুডখোলা গাড়ি চেপে প্রচারে বেরিয়েছিলেন সৃজন। সেই গাড়ির পিছনে অটো এবং বাইকে চেপে মিছিল করে আসছিলেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা। অভিযোগ, প্রচার গাড়ি পঞ্চসায়র থানা এলাকায় পৌঁছতেই সিপিএম প্রার্থীর গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া শুরু করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। প্রচার গাড়ি থেকে দলীয় পতাকা ছিঁড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে সৃজন বলেন, ‘‘হেরে যেতে পারে, এই ভয় থেকেই তৃণমূল আমাদের বাধা দিতে শুরু করেছে। তবে এ ভাবে আমাদের আটকানো যাবে না। জয় আমাদেরই হবে।’’
অন্য দিকে, সিপিএম নেতৃত্ব আরও অভিযোগ তুলেছেন, সোমবার রাতে বাইকে করে এসে নাকতলা এবং সংলগ্ন এলাকায় দলের পতাকা এবং বাম প্রার্থীর ফ্লেক্স-ব্যানার ছিঁড়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন নাকতলা এলাকার বাম নেতৃত্ব। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বলেও বাম নেতৃত্ব জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুব্রত দত্ত বলেন, ‘‘দিনের বেলা তৃণমূলের মুখ দেখানোর সাহস নেই। তাই রাতের অন্ধকারে আমাদের প্রার্থীর ফ্লেক্স, হোর্ডিং ছিঁড়েছে। কিন্তু এ সব করে মানুষকে ১ জুন সিপিএম প্রার্থীকে ভোট দেওয়া থেকে আটকাতে পারবে না তৃণমূল।’’
যদিও এই দু’টি ঘটনারই দায় অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূল মুখপাত্র তথা ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘যাদবপুরে সিপিএম ছাগলের তৃতীয় সন্তান। তিনের সঙ্গে একের কোনও লড়াই হয় না। তৃতীয় স্থানে যারা থাকবে, তাদের ফুটেজ দিতে যাবে কেন তৃণমূল? খেয়েদেয়ে কি কোনও কাজ নেই!’’